সিরাজপট্টিতে আসু-র সাধারণ সম্পাদকের রতনপুর পূর্ত সড়ক বাঁচাও কমিটির সঙ্গে বৈঠক
বরাক তরঙ্গ, ২৫ জুলাই : বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দিতে প্রাথমিক শিক্ষক সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন সারা অসম ছাত্র সংস্থা আসু-র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শংকরজ্যোতি বরুয়া।অনুষ্ঠান শেষে ছাত্র সংস্থার হাইলাকান্দি জেলা কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে হাইলাকান্দি শহরের সিরাজপট্টিতে রেল লাইনে বন্ধ করে দেওয়া রতনপুর পূর্ত সড়কটি পরিদর্শন করেছেন।
গত ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে লোহার পিলার দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ রতনপুর পূর্ত সড়কটি বন্ধ করে যাতায়াতের জন্য প্রায় এক কিলোমিটারেরও অধিক লম্বা একটি ইউটার্ন তৈরি করেছে। যেখানে রোজ দিন ট্রাফিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বৃহত্তর পূর্ব হাইলাকান্দির ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাত্রছাত্রী সহ হাজার হাজার মানুষ।
ছাত্র সংস্থার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সরজমিন পরিদর্শন করে রতনপুর পূর্ত সড়ক বাঁচাও কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে রতনপুর পূর্ত সড়ক বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে ছাত্র সংস্থার সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি অবগত করানো হয়। এবং তাঁর হাতে একটি স্মারকপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে ছাত্র সংস্থার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শংকরজ্যোতি বরুয়া সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, হাইলাকান্দি জেলার অত্যন্ত ব্যস্ততম রতনপুর পূর্ত সড়কটি রেল কর্তৃপক্ষ লোহার পিলার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় চরম অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন বৃহত্তর পূর্ব হাইলাকান্দি এলাকার জনগণ। এখানে সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভাবে এক কিলোমিটারেরও অধিক লম্বা একটি ইউটার্ন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে ছাত্রছাত্রী ও রোগী সহ জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এখানে একটি উড়াল সেতু নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে জনগণের এই সমস্যার বিষয়ে অবগত হয়েছেন। এবং রতনপুর পূর্ত সড়ক বাঁচাও কমিটির দাবি সম্বলিত একখানা স্মারকপত্রও গ্ৰহণ করেছেন। তাই শীঘ্রই মুখমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও উত্তর পূর্ব রেলের জিএমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। সর্বাবস্থায় ছাত্র সংস্থা এই গণদাবি পূরণে পূর্ব হাইলাকান্দির জনগণের সঙ্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শংকরজ্যোতি বরুয়া।
তাছাড়া বরাক উপত্যকার বন্যা সমস্যা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অসমের বন্যা সমস্য একটি জাতীয় সমস্যা। কিন্তু সরকার দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অসমের বন্যা সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল অসমের বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজ্য সরকারকে একটি বড় প্যাকেজ দিয়ে নদী ভাঙন গুলো নির্মাণ করা। অসমের বন্যা সমস্যার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। কেন্দ্রীয় সরকারের চরম ব্যর্থতায় অসমের মানুষ প্রতি বছরই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলা হতে হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাযর ক্ষতিগ্রস্তদেরকে শীঘ্রই সরকারি ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান সারা আসাম ছাত্র সংস্থা আসু-র সাধারণ সম্পাদক শংকরজ্যোতি বরুয়া।