আর্থিক প্রতারণা, গ্রেফতার আদালত কর্মী

বরাক তরঙ্গ, ২৮ ডিসেম্বর : মাদক পাচারের মামলায় অভিযুক্তকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল আদালতের এক কর্মীকে। লক্ষীপুর আদালতে ‘প্রসেস সার্ভার’ পদে কর্মরত নাহারুল ইসলাম চৌধুরী (৪৩) নামে এই কর্মীকে পুলিশ তার শিলচর মধুরবন্দ এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার। এবার তাকে বিশেষ আদালতে পেশ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে গুয়াহাটিতে।

মধুরবন্দ গাঙ্গপার এলাকার বাসিন্দা নাহারুল আগে একই পদে কর্মরত ছিলেন শিলচরে কাছাড়ের জেলা ও দায়রা জজের আদালতে। সেসময় মাদক পাচারের মামলায় অভিযুক্তকে অব্যাহতির ব্যবস্থা করে দেবার কথা বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে কচুদরম থানা এলাকার বিদ্রোহীপারের বাসিন্দা মজুমদার পদবীর ওই ব্যক্তি অভিযোগ জানান। অভিযোগ অনুযায়ী, নাহারুল ইসলাম মামলা থেকে অব্যাহতির ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার পর সে অনুযায়ী কাজ করতে পারেননি। এরপর মজুমদার
পদবীর ওই ব্যক্তি তাকে টাকা ফিরিয়ে দিতে বললে, তিনি বেশ কিছুদিন টালবাহানার পর মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার দু’টি চেক দেন। কিন্তু ব্যাংকে জমা করার পর চেক দু’টি বাউন্স হয়। নাহারুল যে অ্যাকাউন্টের বিপরীতে চেক ইস্যু করেছিলেন, সেই একাউন্টে এতো টাকা ছিল না। তাই বাউন্স হয় চেক দু’টি।

এভাবে প্রতারিত হওয়ার পর মজুমদার পদবীর ওই ব্যক্তি অভিযোগ জানালে ‘প্রিভেনশন অব করাপসন অ্যাক্ট’-এ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার তাকে মধুরবন্দ গাঙ্গপারের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আর্থিক প্রতারণা, গ্রেফতার আদালত কর্মী

খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ যখন তাকে ধরতে যায়, তখন তিনি লুকিয়ে পড়েন। তার পরিজনদের কেউ কেউ তিনি বাড়িতে নেই বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালান। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের পক্ষে পুলিশকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের পর এবার তাকে গুয়াহাটিতে বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। তাকে গুয়াহাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘ট্রানজিট রিমান্ড’ চেয়ে শুক্রবার শিলচরে সিজেএম-এর আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তার তিনদিনের ‘ট্রানজিট রিমান্ড’-এ অনুমোদন জানিয়েছে।

Author

Spread the News