মিজোরামে ধলাইয়ের চালকের মৃত্যুর পর আটক খালাসির মৃত্যু, উত্তেজনা
বরাক তরঙ্গ, ৯ ফেব্রুয়ারি : কাছাড়ের ওয়েল ট্যাঙ্কার চালকের মৃত্যুর পর আটক খালাসির মৃত্যু ঘটল মিজোরামে। নৃপেন সিংহের মৃত্যুর ঘিরে ফের উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে অসম- মিজোরাম সীমান্তের ধলাই এলাকায়। বুধবার সকালে নৃপেনের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই রাজ্যের প্রশাসন বিভাগের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক সহ পুলিশসুপার, জেলাশাসক ও আধিকারিকরা ধলাইর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে নৃপেনের এলাকায় এখবর পৌঁছে। নৃপেন নাকি আত্মহত্যা করেছে আইজল জেলে।
উল্লেখ্য, গত ৩০জানুয়ারি তেলের ট্যাঙ্কার গাড়ি নিয়ে মিজোরামে যান চালক প্রবীণ সিংহ সঙ্গে নিয়ে যান তার মামাতো ভাই নৃপেন সিংহকে। ৩১ জানুয়ারি রাতে মিজোরাম সরকারের মদত পুষ্ট ওয়াইএমএ-র সদস্যরা বছর ৪৩ এর প্রবীণ সিংহের মরদেহ পাঠিয়ে দেয় লাল্টুগ্রামের বাড়িতে। এর আগে অবশ্য নিপেন ফোনে পরিবারের লোকদের জানিয়ে দেয় যে মিজোরা প্রবীণকে খুন করেছে ও সে প্রান বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অবশেষে মিজো দূর্বৃত্তের কবল থেকে রক্ষা পায়নি নৃপেনও। প্রবীণকে খুনের মিথ্যা অভিযোগে নিপেনকে সাইরং থানার লকআপে পুরে দেয়া হয়। আরও জানা যায় গত ৩০ জানুয়ারি আইজলের সাইরং এলাকার একটি হোটেলে খাবার খেতে ঢুকে পড়েন ট্যাঙ্কার চালক প্রবীণ সিংহ ও তার মামাতো ভাই নিপেন সিংহ। আচমকা কয়েকজন মিজো দুর্বৃত্ত কুতর্কে জড়িয়ে প্রবীণের উপর হামলা চালায়। প্রবীণকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপ বসায় মিজো দুর্বৃত্তের দল। ঘটনাটি দেখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যায় নৃপেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি নৃপেনের। মিজো দূষ্কৃতীরা তাকে খোঁজে বের করতে সক্ষম হন ও প্রবীণকে খুনের অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করে নৃপেনকে সাইরং থানার লকআপে পুরে দেয়। তবে কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরেল হওয়ায় পরিষ্কার ভাবে ধরা পড়েছে যে নৃপেন খুনের সঙ্গে জড়িত নয়। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে নৃপেনের হাত পা রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর নৃপেনকে সাইরং থানায় নিয়ে গেলে জোর করে খুনের অভিযুক্ত হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেহেতু নৃপেন প্রথম বার মিজোরামে গিয়েছে সে মিজোরামের বিষয়ে কিছু জানেনা। ছবি হাত পা বাঁধা নৃপেনের প্রথমদিন ভাইরাল ভিডিও থেকে নেওয়া স্কিনশট।