আমড়াঘাটে মেয়াদি পাট্টায় নির্মাণ হচ্ছে সদভাবনা মণ্ডপ, থানায় অভিযোগ মহিলার
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ জানুয়ারি : বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস আমাড়াঘাটে সরকারি জমিতে একটি সদভাবনা মণ্ডপের কাজের শিলান্যাশ করার ঠিক দু’দিন পর সেই জমির মালিক বেরিয়ে এলেন। করলেন মামলাও। তাঁর মেয়াদি পাট্টা জমিতে সদভাবনা মণ্ডপ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন জমির মালিক দাবি করা শিখা দাস। গত ৭ জানুয়ারি সেই জমিতে মণ্ডপের আনুষ্ঠানিকভাবে শিলান্যাস করা হয়। এখবর পেয়ে হাইলাকান্দির লালা টাউনের বাসিন্দা প্রয়াত সুনীলচন্দ্র দাসের স্ত্রী শিখা দাস ধলাই থানায় একটি লিখিত আবেদন দায়ের করেন। এবং স্থানীয় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মেয়াদি পাট্টা জমির সরেজমিনে পরিদর্শন করে সব বিষয় ক্ষতিয়ে দেখেন। এরপর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শিখা দাস সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৯৭৬ সাল থেকে তাঁরা সেই জমির তদারকি করে আসছেন।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি শিখা দাস সহ তাঁর পরিবারকে অন্ধকারে রেখে মেয়াদি পাট্টার ৭ বিঘা জমিতে সদভাবনা মণ্ডপ নির্মাণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে তোলার নামে জমি জবরদখল করার প্রয়াস চালাচ্ছে। কিছুদিন আগে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা সেই জমিতে রোড, সিমেন্ট, বালু,পাথর ও নানা মেশিন বসিয়ে সেখানে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করার পাশাপাশি জমিতে থাকা গাছপালা কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় সদভাবনা মন্দির নির্মাণের জন্য সরকারি ভাবে শিলান্যাস কাজও সেরে ফেলেছেন তাঁরা। তিনি বাধ্য হয়ে ধলাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রশাসন সহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার সুবিচার চান তিনি।
এদিকে, অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তি সৌমেন দাস জানান, এলাকায় সদভাবনা মণ্ডপ নির্মাণের জন্য ২০১৯ সালে পূর্ব ধলাইর জেলা পরিষদ স্বপনকুমার দাস, অমজিৎ চন্দ, রত্নময় দাস সহ স্থানীয় বেশ কয়জন মিলে সোনাই সার্কল অফিসে যাওয়ার পর, সেটি খাস জমি বলে জানতে পারেন তাঁরা। পরে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালে তৎকালীন জেলা শাসক কর্তৃক সরকারি নিয়মনীতি অনুযায়ী কচুদরম পুলিশ ও স্থানীয় সার্কল অফিস থেকে পাটোয়ারী ও কানুঙ্গ সহ অন্যান্য কর্মীদের পাঠিয়ে জমির জরিপ শেষে পূর্ত বিভাগের (ভবন) সংমণ্ডল ২-এর অধীনে জমির নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়। এবং সরকারিভাবে ৭ বিঘা জমির ছাড়পত্র পাওয়ার পর সেখানে সদভাবনা মণ্ডপ নির্মাণের শিলান্যাস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌমেন দাস। জমি জরিপের সময় বর্ধন পদবীর একজন পাটোয়ারী ও রথীন্দ্র দাস, সুনীল পাটোয়ারী, মৃনাল দাস উপস্থিত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন সৌমেনবাবু। বর্তমানে সেই ৭বিঘা জমির মালিক সরকার বলেও এদিন উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই জমির যদি কোনও মালিক থাকেন তাহলে তাদের পূর্ত বিভাগে গিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।