ট্রান্সফরমার বিকল, অন্ধকারে কাটলিছড়ার রংপুর

বিদ্যুৎ বিভাগের লালা সাবডিভিশনের চুড়ান্ত গাফিলতি, ৬৫ কেভির ট্রান্সফরমার দিয়ে চলছে রাইস মিল !

বরাক তরঙ্গ, ১ জুলাই : মাত্রাতিরিক্ত গরমের মধ্যে ট্রান্সফরমার বিকল, লালা সাবডিভিশনের কাটলিছড়া বাজার ফিডারের অন্তর্গত রংপুর তৃতীয় খণ্ডের প্রায় ১০০শত এর অধিক পরিবার অন্ধকারে আচ্ছন্ন। বিদ্যুৎ বিভাগের চুড়ান্ত গাফিলতিতে  দীর্ঘদিন থেকে  ৬৫ কেভি ট্রান্সফরমার দিয়ে গোটা এলাকায় লো ভল্টেজে আলো জ্বলছিল। এর উপর লালা সাবডিভিশন কর্তৃপক্ষ ৬৫ কেভির ট্রান্সফরমার থেকে একটি রাইস মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সাধারণ জনতার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত গরমে নরক যন্ত্রনার সমস্যার পড়েছেন রংপুর তৃতীয় খণ্ডে ১১০ নং ট্রান্সফরমারের অধীনে থাকা গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ বিভাগের লালা সাবডিভিশনের অন্তর্গত কাটলিছড়া বাজার ফিডারের রংপুর ৩য় খণ্ডের ১১০ নম্বর ট্রান্সফরমারের অধীন এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত গাফিলতির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। বারকয়েক স্থানীয় বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্করের সাক্ষর করা পেড লালা সাবডিভিশনে জমা দিলেও বিভাগের টনক নড়েনি। মান্দাতা আমলের ৬৫ কেভি ট্রানসফরমার থেকে ১০০ এর অধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে ভার সইতে না পেরে গতকাল রাত থেকে পুরা একাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মুখ তুবড়ে পড়ে আছে।

এদিকে, বিপদজনক অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহী ১১০০ হাজার ভোল্টেজের লাইন ট্রান্সফরমার লাগোয়া বাড়ির উপর অস্বাভাবিক ভাবে নিচে নেমে আছে, যেকোনো সময় অঘটন ঘটতে পারে।ঘনঘন লো ভোল্টেজ এক নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। গতরাত থেকে লাইট কোনমতে জ্বললেও ফেন ঘুরছে না, জলের পাম্প না চলার কারণে জল সংকট দেখা দিয়েছে, অসহনীয় গরমে হাসফাস করছেন স্থানীয় জনগণ। মাই বিজুলি মারফত বারবার অভিযোগ দাখিল করলেও অবস্থার কোন উন্নতি হওয়া দূরের কথা গতকাল থেকে অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়ছে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত একটা রাইস মিলের সংযোগ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ, কিন্তু লাইনের বা ট্রানসফরমারের উন্নতি সাধন করনি উল্টা পুরো এলাকা অন্ধকার করে রেখেছে। ভোল্টেজ কম থাকার কারণে প্রতিটি বাড়িতে কোনোনা কোন যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। এলাকা ঘুরলে দেখা যায় ৫০০ মিটারের মধ্যে ৩/৪ টা ট্রান্সফরমার কিন্তু ব্যতিক্রম রংপুর ৩য় ১১০ ডিটি আর এলাকা, মাত্র এক ট্রানসফরমার দিয়ে ৪/৫ কিলোমিটার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে আজ গ্রাহকরা এর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাহাবাদ হাইস্কুলের কিনারে একটা লাইনের কিছুটা কাজ হলেও বিদুৎ পরিবাহী খুটিগুলা নিধিরাম সর্দারের মত দাড়িয়ে আছে, না আছে তার না কোন কাজের অগ্রগতি, আবার লতাকান্দি সাব স্টেশনে যাওয়ার পথে কাটলিছড়া বাইপাসের কিনারে নিরদা সুন্দরী এমই স্কুলের অদুরে একটা ১০০ কেভি ট্রান্সফরমার বসলেও ৭/৮ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে যেদিকে দরকার নাই সেদিকে লাইন টেনে রেখে দিয়েছে এটা থেকে একটা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

স্থানীয় জনগণ এর আসু সমাধানের জন্য লালা সাবডিভিশন এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনুরোধ করছেন যে, শীঘ্রই এই ১০০ কেভি ট্রান্সফরমার থেকে সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে এর একটা স্থায়ী সমাধান করার জন্য অন্যতা গণতান্ত্রিক উপায়ে এর প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হবেন। স্থানীয় জনগণ কাটলিছড়ার বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর এবং সাংসদ কৃপানাথ মালার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Author

Spread the News