নদীতে তলিয়ে যাওয়া স্কুলের জন্য অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় অনশন বসছেন প্রধান শিক্ষক
কেএইচ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ৩০ আগস্ট : লক্ষীপুর প্রাথমিক শিক্ষা খণ্ডের অধীন গোবিন্দপুর ইস্ট এমই স্কুল।এই স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা ১১৫ জন। ১৯৬০ সালে স্থাপিত হয়েছিল স্কুলটি। ২০১৯ সালে বরাক নদীর আগ্রাসী ভাঙনের শিকার হয়েছিল স্কুলটি। ধীরে ধীরে গত ১০ আগস্ট পুরো স্কুল ভবন, শৌচালয়, রান্না ঘর বরাক নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে এই স্কুলের ক্লাসরুম, রান্না ঘর, শৌচালয় কিছুই নেই। স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করেও ব্যর্থ হয়েছেন স্কুল পরিচালন সমিতির কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক। ২০২২ সাল থেকে স্কুল ভবন নির্মাণের অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন বিভাগীয় কতৃপক্ষ। কিন্তু আজ পর্যন্ত স্কুল ভবন নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ নেই। এবার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে শিক্ষক শিক্ষিকা ও পরিচালন সমিতির।
স্কুল ভবন নির্মাণের অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনে সকাল থেকে অনশন ধর্মঘট শুরু করবেন প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন লস্কর। লক্ষীপুর প্রাথমিক শিক্ষা খণ্ড কার্যালয়ের সামনে এই অনশন ধর্মঘটে বসবেন তিনি।প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অনশন ধর্মঘটে বসবেন আরও অনেকেই।
শুক্রবার এই অনশন ধর্মঘটের কথা জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন লস্কর, স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সহিদ আহমদ বড়ভূইয়া প্রমুখ। পরিচালন সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন গত দুই বছর থেকে স্কুল ভবন নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।