আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্থানে অনিয়ম, অবৈধ ভাবে নিযুক্তির বিরুদ্ধে সরব ইয়াসি
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৩ মার্চ : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্থানে অনিয়ম, শিক্ষাগত মান তথা এনআইআরএফ রেঙ্কিঙে অবনতি ও অবৈধ ভাবে নিযুক্তি ইত্যাদির বিরুদ্ধে সরব হল ইয়ুথস এগেইনস্ট সোশ্যাল ইভিলস (ইয়াসি)। সোমবার শিলচরের ইটখলার কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইয়াসির কেন্দ্রীয় সভাপতি সঞ্জীব রায় বলেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম ও শিক্ষাগত মানের অবনতি ইত্যাদি সুরাহার দাবিতে গত ৭ জানুয়ারি উপাচার্য অধ্যাপক রাজীবমোহন পন্থের কাছে একটি স্মারকপত্র প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় দু’মাস অতিক্রম হতে চলেছে স্মারকপত্রের দাবি অনুযায়ী কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সঞ্জীব রায় বলেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চাকরির নিযুক্তির জন্য যে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অনিয়ম হয়েছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ লক্ষ মানুষের সংগ্রাম এবং বরাক উপত্যকার শহিদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অস্তিত্ব লাভ করেছে। তাই এটা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই যে ভারত সরকার ১৯৯৪ সালে এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন উপাচার্যের আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে উৎকর্ষতার প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ধীরে ধীরে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু এই যাত্রাপথে, যখনই প্রতিষ্ঠানটি ত্রুটিপূর্ণতা বা নেতৃত্বের অভাব বা অনুষদ বা কর্মীদের নৈতিক স্খলনের কারণে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে, তখনই আমাদের সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষার জন্য একজন রক্ষক এবং বন্ধু হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তবে, অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি গত কয়েক বছর ধরে, পর্যাপ্ত সংখ্যক অনুষদ এবং অন্যান্য কর্মী ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই স্তরের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত কর্মক্ষমতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যার ফলে তরুণ প্রজন্ম এবং এই অঞ্চলের বৃহত্তর জনগণের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

ইয়ুথ অ্যাগেইনস্ট সোশ্যাল ইভিলসের সদস্যরা এই উপত্যকা জুড়ে এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষদের নিয়ে গঠিত। বরাক উপত্যকায় সুপরিচিত এবং বিভিন্ন কারণে সংগ্রাম করছে, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান এবং শিক্ষার মানের অবনতির কারণে আমরা ব্যথিত। তিনি বলেন, ইয়াসির এক প্রতিনিধি দল শীঘ্রই দিল্লিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে সবিশেষ তুলে ধরবে। তাই এসব ব্যাপারে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। অন্যাথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাকির তালুকদার, জহর মজুমদার, দীনেশ কাহার প্রমুখ।