যোগ দিবস উপলক্ষে শতাধিক কর্মসূচি, মালুগ্রাম সরস্বতী বিদ্যা নিকেতনে নিরাময়ের কর্মশালা
বরাক তরঙ্গ, ৩০ এপ্রিল : “ডেইলি যোগ প্র্যাকটিসেস ফোর স্টুডেন্টস (ডিওয়াইপিএস)” শীর্ষক কর্মশালা আয়োজিত হল শিলচর মালুগ্রাম সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে। পরিচালনায় ছিল শিলচর নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থান। বুধবার, নিরাময়ের যোগ চেতনা মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে হয় এই যোগ সেশন। স্কুল প্রেক্ষাগৃহে ভারতমাতা ও বাগদেবীর প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। বৈদিক মন্ত্ৰ পাঠ করেন পড়ুয়া সহ শিক্ষিকারা। চন্দন-তিলক দিয়ে ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয় নিরাময় থেকে আসা লিগ্যাসি পার্সন, মাস্টার ট্রেনার সহ অন্য রিসোর্স পার্সনদের।
দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় কর্মশালা। এতে বিভিন্ন বয়সের পড়ুয়াদের উপযোগী যোগ প্রক্রিয়া অভ্যাস করানো হয়। বুঝিয়ে দেওয়া হয় দিনলিপিতে যোগ অনুশীলনের গুরুত্ব। কীভাবে খুব সহজ উপায়ে যোগ-কে নিজেদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া যায়, তাও তুলে ধরেন প্রশিক্ষকরা। ছাত্র ছাত্রীদের নিয়মিত অভ্যাসে বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষিকারা কীভাবে সহায়তা করতে পারেন, সেই জায়গাটাও বুঝিয়ে দেন নিরাময়ের লিগ্যাসি পার্সন ও মুখ্যসংযোজক। সমবেত ধ্যানের পর “যোগ ফোর ওয়ান আর্থ, ওয়ান হেলথ” এর ওপর সংকল্প নিয়ে শেষ হয় কর্মশালা।

এ দিনের সফল আয়োজনে স্কুল পরিচালনা সমিতির সম্পাদক কৃষ্ণ দাস, ভারপ্রাপ্ত প্রধান আচার্যা রূপালী দত্ত সহ বাকি শিক্ষক-আশিক্ষক কর্মীরাও সক্রিয় ছিলেন। এক বিবৃতিতে নিরাময়-এর তরফে উল্লেখ করা হয়, এই যোগ শিক্ষা সংস্থানটি ভারত সরকারের যোগ সার্টিফিকেশন বোর্ড ও ইন্ডিয়ান যোগ অ্যাসোসিয়েশন-এর অনুমোদিত। তাছাড়া, পরমানন্দ ইনস্টিটিউট অব যোগ সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ-এর গুরু পরম্পরার স্বীকৃতি রয়েছে নিরাময়-এর। ফলে যোগ শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে নিয়মিত কর্মসূসূচি চলে এই যোগ সংস্থানের।

প্রসঙ্গত, ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে এবছরের ৮ মার্চ “যোগ চেতনা মহোৎসব” চলছে। শেষ হবে ২১ জুন। এই সময়ের মধ্যে সচেতনতা অনুষ্ঠান, কর্মশালা, বিশেষ সেশন এ সব নিয়ে যোগ বিষয়ক শতাধিক কর্মসূচির অঙ্গীকার রয়েছে নিরাময়ের।
