ত্রাণ থেকে বঞ্চিত বহু লোক, করিমগঞ্জ সদর সার্কল কার্যালয়ে বিক্ষোভ

মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২২ জুন : ত্রাণ বণ্টনের কারচুপির অভিযোগে উত্তাল করিমগঞ্জ সদর সার্কল কার্যালয়। সাত আট দিন থেকে বন্যার জলের তলায় থাকা বেশিরভাগ বন্যাক্রান্তরা ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এমন অভিযোগে সার্কল কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বঞ্চিতরা। শনিবার সমাজসেবী তথা আইনজীবী হাসিনা রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক ভুক্তভোগী জনগণ করিমগঞ্জ সদর সার্কল অফিসার জয় ক্রিস্টিনিয়া এনগামলাইর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আট দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকপত্র প্রদান করেন।

স্মারকপত্রে উল্লেখিত দাবি গুলো মধ্যে রয়েছে বানভাসিদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ বণ্টনের ব্যবস্থা অবিলম্বে করা, বিশুদ্ধ পানীয়জল, শিশু খাদ্য বিতরণ, গবাদিপশুর খাদ্য, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, চাষীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, ত্রাণ সামগ্রী সঠিক ভাবে বণ্টন করা। এবং বন্যা পরিবর্তি সময়ে স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থা করাও দাবি রাখেন।

ত্রাণ থেকে বঞ্চিত বহু লোক, করিমগঞ্জ সদর সার্কল কার্যালয়ে বিক্ষোভ

স্মারকপত্র প্রদানের পর সংবাদ মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে আইনজীবী হাসিনা রহমান চৌধুরী বলেন, এক সপ্তাহ থেকে বন্যার জলে ডুবে রয়েছে উত্তর করিমগঞ্জের ডিমপুর, জাড়ুয়া, নয়াগাঁও, জাড়াপাতা, খালোরপার, শঙ্করপুর, সুতারকান্দি, গোবিন্দপুর, গন্ধক, সুনোডড়ি সহ অন্যান্য গ্রাম। রাস্তাঘাট জলের তলায়। বৃহত্তর এলাকার হাজার হাজার লোক গৃহবন্ধি অবস্থায় অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এমতাবস্থায় সরকারি ভাবে করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রি বণ্টনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সঠিক ভাবে বিতরণ করা হয়নি। বহু পরিবার ত্রাণ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এসব পরিবার সঙ্কটে পড়েছেন। প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

ত্রাণ থেকে বঞ্চিত বহু লোক, করিমগঞ্জ সদর সার্কল কার্যালয়ে বিক্ষোভ

তিনি আরও বলেন, শরণার্থী শিবিরে ছোটো ছোটো শিশু ও মহিলা-পুরুষ এক সঙ্গে থাকা সম্ভবপর না হওয়ায় অনেকেই জলমগ্ন অবস্থায় ঘরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। মানুষ এক অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। তিনি
সঠিক ভাবে ত্রাণ বণ্টন সহ বঞ্চিত এলাকায় বণ্টনের দাবি জানিয়েছেন।

Author

Spread the News