কঠিন সময়ে দলের বার্তা নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছেন হেমেন্দ্রবাবু : এসইউসিআই

বরাক তরঙ্গ, ৭ জানুয়ারি : দলের প্রবীণ সদস্য তথা সোনাই-ধলাই আঞ্চলিকের প্রাক্তন সম্পাদক হেমেন্দ্রচন্দ্র দাসকে স্মরণ করল এসইউসিআই (সি)। রবিবার নতুন বাজারে আঞ্চলিক কমিটির কার্যালয়ে সম্পাদক অঞ্জন চন্দের পৌরোহিত্যে স্মরণসভার শুরুতে শোক বার্তা পাঠ করেন অধ্যাপক অজয় রায়। এরপর বক্তারা তাঁর সংগ্রামী জীবনের নানা দিক আলোকপাত করেন। জনদরদী, নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি দলের নির্দেশে দু’বার ধলাই কেন্দ্রে লড়াই করে ছিলেন। নিরলস সংগ্রাম করেছেন আজীবন তিনি। সেকথা গুলো তাঁদের বক্তব্যে ফুটে ওঠে।

নতুন বাজারে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

সভায় জেলা সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী বলেন, জীবন সংগ্রামের ইতিহাস সবার কাছে পৌঁছে দিতে এই স্মরণসভার আয়োজন। কোন আনুষ্ঠানিকতা নয়। কঠিন সময়ে দলের বার্তা নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়েছেন হেমেন্দ্রচন্দ্র দাস। ধলাই অঞ্চলে সংগঠন গড়ে তুলতে সংগ্রাম করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলও হয়েছেন। যেভাবে তিনি দল করেছেন সেটাই শিক্ষনীয়।

কঠিন সময়ে দলের বার্তা নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছেন হেমেন্দ্রবাবু : এসইউসিআই

এ ছাড়া সভায় জেলা কমিটির সদস্য সুব্রতচন্দ্র নাথ বক্তব্যে বলেন, দলের প্রতি আনুগত্য ও কর্মীদের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা তাঁর কাজকর্মে পরিস্ফুটিত হয়। প্রাক্তন সম্পাদক শ্যামদেও কুর্মী বলেন, বরাকে দলের শুরুতে হাতে গোনা কয়েকজনের মধ্যে একজন ছিলেন হেমেন্দ্র দাস। শিক্ষকতার সঙ্গে দলের কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। বার্ধক্য জীবনেও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন। শিক্ষক হিসেবে গোটা ধলাইয়ে অতি সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তিনি প্রত্যেক কর্মীকে হেমেন্দ্রবাবুর চারিত্রিক দিক গুলো নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান।

উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত হেমেন্দ্র দাসের ছেলে ঝন্টু দাস, নকুলরঞ্জন পাল, চম্পালাল দাস, প্রদীপ নাথ, আলকাস উদ্দিন, স্বাগতা ভট্টাচার্য, একলাস উদ্দিন, পরিতোষ ভট্টাচার্য, আশু চৌধুরী, রিম্পি বাগতি প্রমুখ।
সভায় তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর তিনি নিজ বাড়িতে দেবীপুরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর হেমেন্দ্রবাবুর শেষ ইচ্ছেমতো মরণোত্তর দেহ শিলচর মেডিক্যাল এনাটমি বিভাগে দান করা হয়।

Author

Spread the News