হাইলাকান্দিতেও তুলসী পূজন দিবস
বরাক তরঙ্গ, ২৫ ডিসেম্বর : সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বু হাইলাকান্দিতেও অনুষ্ঠিত হলো তুলসী পূজন দিবস। উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে ভারতে এই তুলসী পূজনের উদ্যোগ নেন সমাজকর্মী আসারাম। এরপর থেকে প্রতিবৎসর ভারতবর্ষে পঁচিশে ডিসেম্বর তারিখটি তুলসী পূজন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এ দিন সকাল দশটায় আদি কালীবাড়িতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মানিক চক্রবর্তী, সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জনকুমার ভট্টাচার্য, হারান চৌধুরী প্রমুখ।
এরপর উদ্যোক্তা হাইলাকান্দি পুরোহিত মণ্ডলীর পক্ষ থেকে বিশিষ্টজনদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করা হয়। বরণের পর তুলসী বৃক্ষের উদ্ভব এবং সনাতন হিন্দু ধর্মে এর মাহাত্ম্য সহ ঔষধি গুণ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মানিক চক্রবর্তী ও সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়। দুইটি ভজন ও ভক্তিগীতি পরিবেশন করে সুদর্শন মিউজিক অ্যাকাডেমির ছাত্রী অনন্যা দাস। তারপর তুলসী পূজায় অংশ নেন প্রকৃতি রঞ্জন ভট্টাচার্য, বিপ্রজিৎ ভট্টাচার্য, মহীতোষ চৌধুরী, চয়ন চক্রবর্তী, রাজু চক্রবর্তী, দিব্যেন্দু চক্রবর্তী এবং রত্নেন্দু শেখর ভট্টাচার্য প্রমুখ সাতজন পুরোহিত। তুলসী পূজনের পর অনুষ্ঠিত হয় শান্তি যজ্ঞ। এতে পুরহিতত্বে ছিলেন শুভময় ভট্টাচার্য, সুমন চক্রবর্তী, নয়ন পুরকায়স্থ, পিনাক চক্রবর্তী, অনুরণ ভট্টাচার্য, রত্নরাজ পণ্ডিত, কনৌজ ভট্টাচার্য এবং সম্রাট চক্রবর্তী। পূজা ও যজ্ঞ শেষে দুপুরে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
সন্ধ্যায় ভাগবত পাঠ ও কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ভাগবত পাঠ করেন মনোজ দুবে এবং ভজন পরিবেশন করেন সুমন দুবে ও বনমালী দুবে। নজরকাড়া এই অনুষ্ঠানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছিল।