রীতি মেনেই শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনে যীশুর জন্মদিন পালন

বরাক তরঙ্গ, ২৪ ডিসেম্বর : রামকৃষ্ণের রীতি অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর প্রাক সন্ধ্যয় বিশ্বের ২৭টি দেশের ২৩৭টি রামকৃষ্ণ মিশনে সন্ন্যাসী ও সাধুরা মিলে বড়দিন পালন করলেন। এর অঙ্গ হিসেবে শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনে পালিত হল যীশু পুজো। রবিবার সন্ধ্যায় শিলচর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন সাড়ম্বড়ে পালন করা হয়। মিশনের মূল মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণ-সারদা মায়ের প্রতিকৃতির সামনে যীশুখ্রিস্ট এবং মাদার মেরির একটি প্রতিকৃতি বসানো হয়। প্রার্থনার পর কেক সাজানো হয়। অনুষ্ঠানে স্বামী গনধীশানন্দজি মহারাজ এই উদযাপনের ইতিহাস তুলে ধরেন।

মহারাজ বলেন, ১৮৮৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হুগলি জেলার আটিপুরে স্বামী বিবেকানন্দ ও তাঁর আটজন গুরুভাই ঠাকুর রামকৃষ্ণের ইচ্ছায় আলোচনা শুরু করলেন কিভাবে শিব জ্ঞানে জীব সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করা নিয়ে। আলোচনায় তারা সংকল্প নিলেন রামকৃষ্ণ মঠ স্থাপনের। সেই ২৪ ডিসেম্বর রাতে ধূনীর আগুনে হাত রেখে সবাই মিলে শপথ করলেন, আর ঘরে ফিরবেন না, মানব কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করবেন। হঠাৎ স্বামী কি তার ৮ জন গুরু ভাই ঠিক করলেন ধূনী জ্বালিয়ে প্রভু যীশুখ্রিস্টকে স্মরণ

রীতি মেনেই শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনে যীশুর জন্মদিন পালন

করবেন। শুরু হলো ধূনী জালিয়ে ধ্যান। এবার স্বামীজি যীশুখ্রিস্টের অপূর্ব জীবন কথা বলতে শুরু করলেন। তাই এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়। ক্রিস মাস ইভ বা যীশুখ্রিস্টের জন্মের প্রাক্ সন্ধ্যা যা রামকৃষ্ণ মিশন গড়ে ওঠার দিকচিহ্ন। তখন থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনে ২৪ ডিসেম্বরে পালনের রেওয়াজ রয়েছে ৷ সেমতে আজও চলছে রামকৃষ্ণ মিশনে যীশুপূজা। উল্লেখ্য, এ দিন নাম কীর্তনের পাশাপাশি কেক কেটে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন পালন হয়।
প্রতিবেদক : দীপ দেব, শিলচর।

Author

Spread the News