অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে প্রসূতির মৃত্যুর, সোনাবাড়িঘাটে উত্তেজনা, ভাঙচোর

আশু চৌধুরী, সোনাই।
বরাক তরঙ্গ, ৪ এপ্রিল : অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হল সোনাবাড়িঘাট হাসপাতালের সামনে। উত্তেজিত জনতা শিলচর-সোনাই পূর্ত সড়ক অবরোধ করেন। ক্ষুব্দ জনতা ভাঙচুর করেন ১০৮ মৃত্যুঞ্জয় গাড়িও।

জরিনার ভাই রায়েল লস্কর, শুক্রবার সকাল ছয়টা নাগাদ সোনাবাড়িঘাট দ্বিতীয় খণ্ডের বাসিন্দা গর্ভবতী মহিলা জরিনা বেগম লস্করকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। ঘণ্টাখানেক পর জরিনা এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর মা ও শিশু মোটামুটি সুস্থ থাকলেও জরিনা বেগমের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থা সঙ্গীন হলে সকাল ১১টা নাগাদ জিএনএম ও চিকিৎসক তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এরপর জরিনার আত্মীয়রা অ্যাম্বুলেন্স চাইলে পাননি। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা ১০৮ মৃত্যুঞ্জয়ের কথা বললে কর্তৃপক্ষ খারাপ জানায়। এরপর মৃত্যুঞ্জয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আড়াই ঘণ্টা লাগবে বলে জানানো হয়। এতে ক্ষেপে যান তাঁরা।  অবশেষে বাধ্য হয়ে জরিনার এক আত্মীয়র মারুতি কার নিয়ে মেডিক্যালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে প্রসূতির মৃত্যুর, সোনাবাড়িঘাটে উত্তেজনা, ভাঙচোর

জরিনার ভাই রায়েল জানান, মেডিক্যলে পৌঁছার পর প্রায় আড়াই ঘণ্টা তাদের বিভিন্নভাবে হেরেস্তা করে দাঁড় করিয়ে রাখেন পরবর্তীতে ঘুংঘুর পুলিশে গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ সোনাই এসডিএমও সঙ্গে যোগাযোগ করে করলে জরিনাকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির প্রায় আধ ঘণ্টার পর তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে প্রসূতির মৃত্যুর, সোনাবাড়িঘাটে উত্তেজনা, ভাঙচোর

এরপর বিকেল চারটা নাগাদ মৃতদেহ যখন নিয়ে বাড়ি পৌঁছানোর সময় হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে ক্ষেপে যান জরিনার আত্মীয়রা। এরপর হাসপাতালে প্রবেশ করে অ্যাম্বুলেন্সের উপর হামলা চালান। এরমধ্যে স্থানীয় ও পরিজন পৌছলে অন্য মাত্রায় পৌঁছে যায়। উত্তেজিত হয়ে পড়েন তারা পাশাপাশি সোনাই সড়কের উপর মৃতদেহে রেখে অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে দু’জন পুলিশ কর্মী পৌঁছে অবরোধ মুক্ত করতে ব্যর্থ হন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে।

অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে প্রসূতির মৃত্যুর, সোনাবাড়িঘাটে উত্তেজনা, ভাঙচোর

Author

Spread the News