ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারপিটে নিহত ২
১৮ ডিসেম্বর : ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ ও মাওলানা সাদ কান্দলভি অনুরাগীদের মধ্যে শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী লড়াই। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত তিনটে থেকে শুরু হয়েছে সংঘর্ষ। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। দুই ধর্মীয় গুরুর অনুরাগীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন।
গুরুতর জখম হয়েছেন আরও শতাধিক। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের। পরিস্থিতি সামলাতে আরও বিশাল সংখ্যক পুলিশ ও সেনা সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে।
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা বা তাবলীগ জামাত আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় ধর্মগুরু সাদ কান্ধলভির অনুরাগীদের সঙ্গে বাংলাদেশি ধর্মগুরু জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের মধ্যে লড়াই চলছে। এর আগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল রাজধানী ঢাকা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত তিনটে নাগাদ সাদ কান্ধলভির অনুরাগীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজ-সহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা ময়দানে ঢুকতে শুরু করেন। তাদের বাধা দেন জুবায়েরের অনুরাগীরা। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। এর পরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একে অন্যের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিমিষেই যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। রক্তে ভিজে যায় মাটি। পুলিশ ও সেনা সদস্যরা দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ রুখতে ব্যর্থ হন। রক্তাক্ত অবস্থায় অনেককেই মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে দুজন সাদ কান্ধলভির আনুসারী। অন্যজন জুবায়ারের অনুসারী। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।