শ্রীশ্রী অম্বিকেশ্বর শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উৎসবে বিশ্ব শান্তিতে যজ্ঞানুষ্ঠান
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৬ জুলাই : জগন্নাথ
দেবের উল্টোরথের দিন বেঙ্গলি ফরোর্য়াড ক্লাবের পরিচালনায় শিলচর অম্বিকাপট্টির শ্রী শ্রী অম্বিকেশ্বর শিব মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস তথা বার্ষিক উৎসব একাধিক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার মন্দিরের পূজারি জগৎজ্যোতি ভট্টাচার্য যথাযথ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পূজা সমাপন করেন। প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উৎসবের পূজায় বিশ্ব শান্তিতে যজ্ঞানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বেঙ্গলি ফরোর্য়াড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব জানান, ২০০৯ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই বছর থেকে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের উল্টো রথযাত্রার দিন শ্রী শ্রী অম্বিকাশ্বর শিব মন্দির প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিবছর উল্টো রথযাত্রা তথা ফেরা রথযাত্রার দিন মন্দিরের বাৰ্ষিক উৎসব উদযাপন করা হয়। এবার শ্রী শ্রী অম্বিকাশ্বর শিব মন্দিরের বাৰ্ষিক প্রতিষ্ঠা উৎসব উপলক্ষে সকাল থেকেই ভক্তের ভিড় উপচে পড়ে।স্থানীয় সহ বিভিন্ন অঞ্চলের ভক্তরা মন্দিরে
পুজো দেন। তিনি জানান, মন্দিরে প্রতি শিববাবাকে পুজো দিতে মহিলা ও যুবতীদের ভিড় উপচে পড়ে। এছাড়া মঙ্গলবার হনুমানজিকে পুজো দিতে মন্দিরে ভক্তদের সমাবেশ হয়। এছাড়া প্রতিদিন যথাযথ সকাল-সন্ধ্যা পূজা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, অম্বিকাশ্বর শিব মন্দির পরিচালনা কমিটি এবং বেঙ্গলী ফরোয়ার্ড ক্লাবের সহযোগিতায় এদিন সকাল আটটা থেকে পূজার্চনা শুরু হয়। তারপর সঙ্কল্প ঘটস্থাপন, দ্বারদেবতার পূজা, পঞ্চদেবতার পূজা, উপচার নিবেদন প্রভৃতি সম্পন্ন করে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি প্রদান এবং হোম শান্তি ভোগ নিবেদন পূর্ব্বক প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, মন্দিরের পূজায় যে যজ্ঞ হয় তা বিশ্ব শান্তির জন্য যজ্ঞ করা হয়। সবাই যাতে সুখে শান্তিতে বিনা অসুখে থাকতে পারে তার জন্য বিশেষ যজ্ঞ করা হয়। এদিন দুপুর দেড়টা থেকে মহাপ্রসাদ বিতরণ শুরু হয় এবং সন্ধ্যা সাতটায় শেষ হয়। সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতিতে অনেক ভক্তের সমাগম হয়। সন্ধ্যা আরতির পরে সব ভক্তদের মধ্যে শুকনা প্রসাদ বিতরণ করা হয়। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভক্তিমূলক গান, শিবের ভজন ও বাউল সঙ্গীত সহ আরও অনেক গান পরিবেশিত হয়।
এদিন সঙ্গীতে ছিলেন সর্বাণী ভট্টাচার্য, পরিমল পুরকায়স্থ ও নুপুর দত্ত। হারমোনিয়ামে সুকান্ত সূত্রধর ও তবলায় শিবাজী চক্রবর্তী ছিলেন বলে জানান তিনি। এদিন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসবে ক্লাবের সভাপতি সুশীলকুমার কর সহ মন্দির কমিটির কর্মকর্তা ও বেঙ্গলি ফরোয়ার্ড ক্লাবের সদস্যরা পূজায় সহযোগিতায় ছিলেন।