কিশোরীকে অপহরণ করে যৌনাচার, ২০ বছর কারাদণ্ড কচুদরমের যুবকের
বরাক তরঙ্গ, ১০ মে : কিশোরীকে অপহরণ করে যৌনাচারের মামলায় যুবককে ২০ বছর কারাবাসের সাজা শোনালো কাছাড়ের স্পেশাল জজ (পকসো) নারায়ণ কুরির আদালত। সাজাপ্রাপ্ত যুবক সাঞ্জুল হোসেন লস্কর (২৫) জেলার কচুদরম থানা এলাকার নাগাখালের বাসিন্দা।
২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে সান্জুল প্রতিবেশী বছর ১৬-র ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে। ওই দিন রাতে নাবালিকার বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় অপহরণ করে সে। এরপর কিশোরীকে সোনাই এলাকায় নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে রেখে দিনের পর দিন যৌনাচার চালায়। সাঞ্জুল যখন কিশোরীকে অপহরণ করে তখনই সে ছিল বিবাহিত। এই অবস্থায়ও কিশোরী অপহরণ করে যৌনাচার চালানোর মধ্যে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।
এদিকে, ২৪ নভেম্বর রাতে অপহরণ কাণ্ডের পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কিশোরীর পরিবারের লোকেরা দেখেন মেয়ে ঘরে নেই। তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পেয়ে এ নিয়ে কচুদরম থানায় রিপোর্ট করেন।এর ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ১ মাস ২১ দিন পর কিশোরীকে উদ্ধার সহ সাঞ্জুলকে গ্রেফতার করে।

এসবের মাঝে তদন্ত প্রক্রিয়া সেরে পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করে। এরপর আদালতে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত গত ৭ মে সাঞ্জুলকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর সাজা ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। এতে সাঞ্জুলকে পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় ২০ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়ে সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। জরিমানা অনাদায়ে তাকে ভোগ করতে হবে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড।
এছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারায় তাকে ৭ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়ে সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে জরিমানা অনাদায় তাকে ভোগ করতে হবে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড। দু’টি সাজাই চলবে একসঙ্গে। এই মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বি আচার্য এবং সাঞ্জুলের পক্ষে ছিলেন জে ইউ লস্কর।