নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চেকারচামবাসী, বিওপি স্থাপনের দাবি

বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ জুলাই : জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন চেকারচামবাসী। আতঙ্কে দিনযাপন করেছেন। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য এলাকায় স্থায়ী বর্ডার আউট পুলিশ পোস্ট স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী। কাছাড় জেলার দক্ষিণপূর্ব প্রান্ত মণিপুর -মিজোরাম রাজ্য সীমান্তবর্তী ধলাইর  কচুদরম থানার চেকারচাম জোড়খাল, স্মিতনগর, মেটনাতল ও ধলাখাল প্রভৃতি গ্রামবাসীর নিরাপত্তায় একটি স্থায়ী বিওপি  স্থাপনের দাবি জানিয়ে শুক্রবার এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসক রোহন কুমার ঝার সঙ্গে দেখা করে স্মারকপত্র প্রদান করেন। এদিন স্মারকপত্র প্রদান করে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বনাথ বর্মন ও রসন রায় বলেন, গতকাল দুই শতাধিক পরিবার রাতভর অনিদ্রায় কেটেছেন। আজ প্রায় কয়েক মাস থেকে অপরিচিত উপজাতি সম্প্রদায়ের ১০/১২ জনের একটি দল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে নিয়ে প্রায়ই রাতের বেলা এই গ্রামগুলিতে ঘুরাফেরা করেন। এরফলে তাঁরা ছেলেমেয়ে ও মা-বোনদের নিয়ে অনেক আতঙ্কে দিন যাপন করছেন।

তাঁরা বলেন, আগেও এলাকায় উগ্রপন্থীর উপদ্রব ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছিল এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র লুটপাত হয়। তাছাড়া প্রায় সময় গ্রামে ঢুকে বলপূর্বক চাঁদা দাবি ও আদায় করেছ এবং হাস, মুরগী, ছাগল, শুকর ইত্যাদি ইচ্ছেমত নিয়ে যায়। তাঁদের বাধা দিলে প্রাণে মারার হুমকি দিত ৷ অতিশয় দুঃখের বিষয় যে ২০০৩ সালের ৩১ মার্চ চেকারচাম ও মেটনাতল গ্রামের ৯০টি ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ করে সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং উভয় গ্রামের ডিমাসা সম্প্রদায়ের ২৮ জন নিরীহ লোককে হত্যা করেছিল। যার ফলে ৯০টি ডিমাসা পরিবার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল এবং ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। আজ পর্যন্ত সেই ক্ষতিগ্রস্তু পরিবার গুলি সরকার থেকে কোনও ক্ষতিপূরন বা সহায়তা দেওয়া হয়নি। আজ প্রায় ১২ বছর চেকারচাম গ্রামে থাকা ১৫ এপিআইআর ক্যাম্প লুটপাএ করে।  ক্যাম্পের সমস্ত অশ্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই স্থায়ী বিওপি স্থাপনের দাবি জানান।

Author

Spread the News