শুরু ভুবনমেলা, পাহাড়ে উঠছেন পূণ্যার্থীরা
কৃষ্ণপুর ও মতিনগরে মেলার উদ্বোধন____
দেবু দাশ, আমড়াঘাট।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ ফেব্রুয়ারি : ঐতিহ্যবাহী শৈবতীর্থ ভুবনতীর্থে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ভুবনমেলা। বিকেল ২টায় মতিনগরে ভুবনতীর্থ যাত্রী মেলার উদ্বোধন করেন বিজেপির কাছাড় জেলা সভাপতি রূপম সাহা। পরে কৃষ্ণপুরে বিকেল ৩ টায় কৃষ্ণপুর গঙ্গানগর ভুবনতীর্থ যাত্রী মেলার উদ্বোধন করেন কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব ও বিজেপির কাছাড় জেলা সভাপতি রূপম সাহা। এদিন তাঁরা ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। এরপর কৃষ্ণপুর চরণ মন্দির কম্যুনিটি হলে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে সভায় বক্তব্য রাখেন ভুবনতীর্থ উন্নয়ন ও পরিচালন সভাপতি সোমেন দাশ।

বিজেপির কাছাড় জেলা সভাপতি রূপম সাহা ভুবনতীর্থে আসা সকল পূর্ণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভুবনবাবার পূজো দিতে আহ্বান জানান।

জেলা আয়ুক্ত ভুবনতীর্থে আসা পূর্ণ্যর্থীদের নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, বিগত দিনে ভুবনতীর্থে পুজো দিতে এসে অনেক পূণ্যার্থীর প্রাণ দিতে হয়েছে। তাঁর কথায় মহাশিবরাত্রী উপলক্ষে ভুবনতীর্থে পাঁছ ছয় লক্ষ তীর্থযাত্রী পাহাড়ে উঠেন। তাই শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে পুজো দেন তার জন্য ভুবনতীর্থ উন্নয়ন ও মেলা পরিচালন কমিটির স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ প্রশাসন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নেতা হেমাঙ্গ শেকর দাস, কৃপেশ ঘোষ, সমাজসেবী মিহিরকান্তি রায়, সুবোধরঞ্জন দাস, অপূর্ব দাশ, স্বপনকুমার দাস ভুবনহিল জিপি সভাপতি নীহাররঞ্জন শুক্লবৈদ্য, কৃষ্ণপুর চরণ মন্দির কমিটির সভাপতি বনকুমার শুক্লবৈদ্য, সম্পাদক কেশব গোয়ালা প্রমুখ।

এদিন সকাল থেকে পাহাড়ে উঠতে শুরু করেছেন পূণ্যর্থীরা। সকালের দিকে পূণ্যর্থীর সংখ্যা সামান্য কম হলেও বিকেল তিনটার পর কয়েক হাজার পূর্ণ্যার্থী পাহাড়ের চুড়ায় ওঠেতে দেখা গেছে।

এদিকে, ভুবনতীর্থে আসা পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কাছাড় জেলা প্রশাসন ও কাছাড় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভুবনতীর্থে যাওয়ার মতিনগর ও কৃষ্ণপুর দু’টি রাস্তায় আবগারি বিভাগের পক্ষ থেকে চেক গেট বসানো হয়েছে, যাতে কেও নেশাদ্রব্য নিয়ে পাহাড়ে উঠতে না পারে। এছাড়া পুলিশ, আদাসামরিক বাহিনী দু’টি রাস্তায় তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন। পাহাড়ের উপরে ভুবন মেলায় নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ প্রশাসন ও ভুবনমেলা উন্নয়ন ও মেলা পরিচালন কমিটির স্বেচ্ছাসেবক।
