এমকে দে সিনিয়র সেকেন্ডারির উন্নয়নে সরকারের দৃষ্টি চাইলেন বিশ্বজিৎ

বরাক তরঙ্গ, ২ সেপ্টেম্বর : আমড়াঘাট এম কে দে সিনিয়র সেকেন্ডারির পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বিশ্বজিৎ দেবরায়। শুক্রবার স্কুলের ৩১ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ দেবরায় বলেন, স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস মানে এই এলাকার মানুষের মধ্যে একটা আলাদা আবেগ। প্রতিবছর এই দিনটি উৎসবের মেজাজে পালিত হয়, এবারও এই অনুষ্ঠান আয়োজনে কোন ধরণের খামতি ছিল না। তিনি বিশেষ করে অধ্যাপক হিমাংশু চক্রবর্তীর কথা উল্লেখ করে বলেন, হিমাংশুবাবুর নেতৃত্বেই প্রতিবছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অধ্যক্ষ সুব্রত চৌধুরী ও অধ্যাপক হিমাংশু চক্রবর্তী প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করে যাচ্ছেন এবং তারা সত্যিকার অর্থে ধন্যবাদের পাত্র, বলেন বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন ১৯৯২ সাল অর্থাৎ প্রায় তিন দশক আগে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী স্কুলটি আজকের দিনে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে তার পিছনে এই অঞ্চলের মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম। তাদের পরিশ্রমের ফসল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা শিক্ষা অর্জন করতে পারছি। বিগত দিনে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার পিছনে যারা জড়িত ছিলেন তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন তিনি। বিশ্বজিৎ বাবু বলেন প্রয়াত ভারতী ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে এলাকার বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আছেন যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের দৌলতে আমড়াঘাটের মতো একটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠা সম্ভব হয়েছে, তারজন্য স্কুল পরিচালন সমিতি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। বহু স্মৃতি জড়িত ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলের সার্বিক উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য, আসাম সরকার স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্ব দিন, আহ্বান প্রাক্তন জিলা পরিষদ সদস্য বিশ্বজিৎ দেবরায়ের। 

এদিনের অনুষ্ঠানে এলাকার বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সংবর্ধিত করা হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা গামছা পরিয়ে দিয়ে কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ দেবরায়, জেলা পরিষদ সদস্য স্বপন কুমার দাস, বিজেপি পালংঘাট মণ্ডল সভাপতি সোমেন দাশ, অধ্যক্ষ সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক হিমাংশু চক্রবর্তী, সাংবাদিক বিক্রম বিজয় দাশ, কলেজের করণিক দিলীপ কুমার দাস, বাচ্চু দাস, রমেন্দ্র চাষা সহ অন্যান্য গুণীজনদের সংবর্ধণা জানানো হয়।

Author

Spread the News