“বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্ট” নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ছেলেখেলা করছেন : সুস্মিতা
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২০ সেপ্টেম্বর : ৫২টি সুপারিশ মেনে শীঘ্রই “বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্ট” অসমে কার্যকর করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মন্তব্যের প্রসঙ্গে শুক্রবার শিলচরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্ট ভারত সরকার এখনও গ্রহন করেননি। অথচ অসমে তা কার্যকর হতে যাচ্ছে। অসম চুক্তির ৬ নং ধারায় বলা হয়েছে যে বরাক ও হিলস ডিস্ট্রিক্টে এসব কার্যকর হবে না। তাহলে বরাকের ছেলেমেয়েরা বাইরে চাকরি বা পড়াশোনা করতে গেলে ১৯৫১ না ১৯৭১ এর কাগজ দেখাবেন তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন তিনি। বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুস্মিতা দেব।২০১৬ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত বিজেপির ভিশন ডকুমেন্টের ৩ ও ৪ নং পাতায় বরাকের ছেলেমেয়েদের জন্য ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনির চাকরিতে সংরক্ষণের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের পর বরাকে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে শুধুমাত্র বরাক উপত্যকাকে বাদ দিয়ে আসামের সমস্ত জায়গায় সংরক্ষণ হয়ে গেছে।এই পরিস্থিতিতে একটি সাদা কাগজে তথ্য দিয়ে বরাকের ছেলেমেয়েরা বরাকে এবং বাইরে কয়টি চাকরি পেয়েছেন তা মুখ্যমন্ত্রীকে বিধান সভায় তুলে ধরার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।বরাকে চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হবে,উড়ো পুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে ইত্যাদি কাজ শুধু মাত্র শোনা যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। কাজের কথা তো দূরের শিলচর পুরসভাকেই কুড়ো ঘরে ফেলে রেখেছে বিজেপি। বর্তমানে পাঞ্চায়েত নিয়ে নাকট শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ‘কা’ নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষ চাকরি পাবেন না, নির্বাচন লড়তে পারবেন না, তাহলে সেই কা এর দামটাই বা কি থাকলো প্রশ্ন সুস্মিতার। মুখ্যমন্ত্রী কেন এই খেলা খেলছেন তা বোঝা দায় হলেও “বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্ট” নিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ছেলেখেলা করছেন বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেবের। অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চেয়ে বরাকের জনগণকে সচেতন হয়ে উঠার আবেদন জানিয়েছেন সুস্মিতা দেব।