বরাক ব্রাহ্মণ পরিষদের ত্রিদিবসীয় প্রশিক্ষণের বিশেষ কর্মশালার শুরু

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২০ সেপ্টেম্বর : রাঙ্গিরখাড়ির গোপাল আখড়া জিউর একটি কক্ষে বরাক ব্রাহ্মণ পরিষদের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষে শুক্রবার তিনদিন ব্যাপী এই অঞ্চলের পুরোহিতদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুরু হল।

এদিন সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের শিলচর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী গুণসিন্ধু মহারাজ, উধারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, ডাঃ সুখময় ভট্টাচার্য, লক্ষ্মীকান্ত ভট্টাচার্য, তিনজন বিশেষ প্রশিক্ষক অশোক বিজয় ভট্টাচার্য, অজিত ভট্টাচার্য, রাহুল ভট্টাচার্য প্রমুখ। এদিন প্রথমে পরিষদের প্রার্থনা মন্ত্র পাঠ করে শুভারম্ভ করা হয় এবং দুর্গার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ সহ দীপ মন্ত্রের মাধ্যমে পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের শিলচর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী গুণসিন্ধু মহারাজ সহ অতিথিরা।

বরাক ব্রাহ্মণ পরিষদের ত্রিদিবসীয় প্রশিক্ষণের বিশেষ কর্মশালার শুরু

বক্তব্যে স্বামী গুণসিন্ধু মহারাজ  বলেন, দুর্গা শব্দের অর্থ হল আবদ্ধ স্থান। যা কিছু দুঃখ-কষ্ট মানুষকে আবদ্ধ করে যেমন-বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা, যন্ত্রণা থেকে তিনি ভক্তকে রক্ষা করেন। শাস্ত্রকাররা দুর্গার নামের অন্য একটি অর্থ করেছেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাঁকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন। এই শারদীয় দুর্গাপুজোটি শাস্ত্রীয় নীতি ও মেনে করার প্রয়োজন রয়েছে বর্তমান দিনে।

বরাক ব্রাহ্মণ পরিষদের ত্রিদিবসীয় প্রশিক্ষণের বিশেষ কর্মশালার শুরু

বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম বলেন, আধুনিক জীবনযাত্রায় যতই পরিবর্তন আসুক না কেন, এখনও ভক্তপ্রাণ মানুষজন দেব-দেবীর চরণে আশ্রয় নিয়ে থাকেন ও আগামীতেও থাকবেন, সেই সঙ্গে ভক্তদেরও পৌরহিতদের সঠিক সম্মান প্রদান করতে হয়।পৌরহিতদের মাধ্যমে পূজা হয় ও সমাজের মঙ্গল হয়। বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, সমাজের অধিকাংশ মানুষ সাধু-সন্ন্যাসী ও পৌরহিতদের শ্রদ্ধার চোখে দেখে, সম্মান করে। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের দারস্থ হয়। তাঁদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলে। এই শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যদি তাঁদেরকে আরেকটু শানিত বা দক্ষ করে তুলতে পারা যায়,তাহলে দেশ ও জাতি অনেক বেশি রিটার্ন পেতে পারে।সকল সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধেও‌ সাধু-সন্ন্যাসী ও পুরোহিতদের বিশেষ ভূমিকা প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান।

এ ছাড়া বক্তব্যে লক্ষ্মীকান্ত ভট্টাচার্য, শরদিন্দু ভট্টাচার্য ও পুলক ভট্টাচার্য সবাই নিজ-নিজ বক্তব্যে এবার দুর্গা পুজোর তিথির স্বল্পতার পরিপেক্ষিতে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পুজো কিভাবে সম্পন্ন হবে, এসব বিষয় নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা করেন। শরদিন্দু ভট্টাচার্য আগমনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গৌতম চক্রবর্তী।

Author

Spread the News