করিমগঞ্জের মেদল এলাকার নাবালিকা হত্যার পর গণ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩

বরাক তরঙ্গ, ২৮ সেপ্টেম্বর : করিমগঞ্জ শহর লাগোয়া মেদল এলাকার নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসলো। ধর্ষণ করে হত্যা নয়, বরং হত্যার পর গণ ধর্ষণ করা হয়েছিল ১৫ বছরের নাবালিকা কে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন অভিযুক্ত কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য লাভ করে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার বিস্তারিত জানায় তারা। অভিযুক্ত দের নিয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার ক্রাইম সিন দেখে আসে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে করিমগঞ্জ শহর লাগোয়া মেদল এলাকায় এক নাবালিকার ঘরের ভেতরে হত্যা করা হয়। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ সুপার পার্থ প্রতীম দাস দলবল নিয়ে নিজে ছুটে যান ঘটনা স্থলে। স্থানীয় দের অভিযোগ মেয়েটিকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত আরম্ভ করে মেয়েটির মোবাইল উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে প্রায় সতেরো দিন পর তিন অভিযুক্ত কে আটক করে । এরা হচ্ছে রাহুল দাস, শুভ্র মালাকার এবং বিপ্লব মালাকার । এদের মধ্যে রাহুল দাস নামের ছেলেটি সরকারি কর্মচারী। সে মেয়েটির সঙ্গে নকল প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। মেয়েটিকে মোবাইল ফোনটি এই রাহুলই দিয়েছিল। মেয়ের মা বাবা ঘরে থাকবেন না বলে ছেলেটিকে জানিয়েছিল মেয়েটি। তখন ছেলেটি মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি এতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে রাতের বেলা রাহুল তার দুই সহযোগী শুভ্র মালাকার ও বিপ্লব মালাকার কে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করে। মেয়েটি চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনজন মিলে মেয়েটির গলা টিপে হত্যা করে। এরপর ক্রমে এক এক করে মৃতদেহ টিকে ধর্ষণ করে। এই পুরো ঘটনা পুলিশের কাছে আটক তিন অভিযুক্ত স্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক ডেকে পুলিশ সুপার পার্থ প্রতীম দাস পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানান। বলেন, ঘটনার পর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এরপরই ধর্ষনের বিষয়টি জানা যায় এবং পুলিশ সে অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে। আটক অভিযুক্তরা হত্যা ও ধর্ষনের বিষয় স্বীকার করেছে।

Author

Spread the News