বনধের দিনে কাঁঠালতলিতে পুলিশের লাঠিপেটায় আহত হননি জানালেন বৃদ্ধ
বরাক তরঙ্গ, ৮ জানুয়ারি : নয়া পরিবহন আইন ‘হিট অ্যান্ড রান’ এর বিরুদ্ধে চালক সহ মোটর যান সংস্থার শুক্রবারে ডাকা বনধে কাঁঠালতলিতে পুলিশ ও জনতার খণ্ড যোদ্ধে আহত হওয়া ব্যক্তির মন্তব্য প্রকাশ্য এল। আহত প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুর রহমান পুলিশের কাছে নিজের বয়ান দিলেন। বয়ানের ভিডিওতে তিনি বলেন, পুলিশের মারপিটে তিনি আহত হননি। তিনি বাজারে মাছ কিনার সময় কয়েকজন যুবক দৌড়ে পালাতে গেলে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে যান। এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গোটা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সকাল থেকে সীমান্তবর্তী কাঁঠালতলি বাজার তেমাথায় সড়ক অবরোধে নামেন বিভিন্ন যান বাহনের চালক সহ মোটর চালক সংস্থার কর্মীরা। এমন খবর পেয়ে এদিন দুপুরে দলবল নিয়ে মাঠে নামেন বাজারিছড়া থানার ওসি নিলভজ্যোতি নাথ। তিনি অবরোধকারিদের সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ তথা জরুরি পরিষেবার যান বাহন চলাচল স্বাভাবিক করা সহ বনধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।এতে অনিহা প্রকাশ করেন বনধ সমর্থনকারিরা। পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও পিকেটার্সদের মধ্যে মতানক্য দেখা দিলে এক সময়ে ওসি সুর চড়িয়ে হুইসেল বাজিয়ে বনধ সমর্থনকারিদের ছত্রভঙ্গ করার প্রয়াস করেন। এতে পুলিশি লাঠিচার্জের ভয়ে অনেকে এদিক সেদিক দৌড়ে পালাতে গিয়ে জনতার পদপিষ্টে আহত হন ষাট বছরের পথিক আব্দুর রহমান। এতে উত্তেজিত জনতা এক সময় পাল্টা আক্রমন করে বসেন বাজারিছড়া থানার ওসি উপর। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠ নামতে হয় করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস সহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পাথারকান্দির সার্কল অফিসার অর্পিতা দত্ত মজুমদার। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।