সিলেবাসে বাদ মুঘল যুগ, যোগ হল ভারতের ঐতিহ্য এবং মহাকুম্ভ
২৮ এপ্রিল : এনসিইআরটি সিলেবাসে বদল করা হল। সপ্তম শ্রেণির বই থেকে বাদ গেল মুঘল এবং দিল্লি সুলতানির অধ্যায়। সেখানে যোগ করা হল ভারতীয় ইতিহাস, ভৌগলিক পরিসংখ্যান এবং মহাকুম্ভকে।
শুধু তা নয়, সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজকে তুলে ধরা হবে। সেখানে বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াওয়ের মতো প্রকল্পগুলি থাকছে। নতুন সিলেবাস জাতীয় শিক্ষানীতির অন্তর্গত করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এই কাজটি করা হল।
ভারতীয় ঐতিহ্য, দর্শণ, জ্ঞান, ব্যবস্থা এবং স্থানীয় কাজকে সিলেবাসে তুলে ধরা হয়েছে। এনসিইআরটি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, এটি প্রথম ধাপে সিলেবাস বদল করা হল। পরবর্তীকালে কয়েক মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপটি করা হবে। তবে তারা সিলেবাস নিয়ে বিশেষ কোনও কথা বলেননি।

এর আগেও এনসিইআরটি সিলেবাস থেকে কয়েকটি অধ্যায়কে বাদ দিয়েছিল। সেখানে মুঘল, দিল্লির সুলতানি, তুঘলক, খলজির অধ্যায়গুলি ছিল। তবে এবার একেবারে সিলেবাস থেকে এই অধ্যায়গুলিকে সরিয়ে দেওয়া হল।
অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞানে ভারতীয় সভ্যতার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। ভারতের ইতিহাসের মধ্যে মগধ, মৌর্যদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেবাসে বিভিন্ন ধর্মকে নিয়ে একটি আলাদা অধ্যায়কেও যোগ করা হয়েছে।
ভূগোল বইতে জ্যোতিরালিঙ্গ, চারধার যাত্রা, শক্তিপীঠের অধ্যায়কে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদী এবং পাহাড়ের বৈশিষ্ট্যকেও যোগ করা হয়েছে। সেখানে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু যেভাবে ভারতের ঐতিহ্যকে বর্ণণা করেছেন সেদিকটি তুলে ধরা হয়েছে।
ব্রিটিশ রাজত্ব থেকে দেশকে বাঁচাতে বর্ণ-জাতি ব্যবস্থার গুরুত্বকে তুলে ধরা হয়েছে নতুন সিলেবাসে। সেখানে চলতি বছরের মহাকুম্ভ মেলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহাকুম্ভে যে ৬৬০ মিলিয়ন ভক্ত এসেছিলেন সেকথাও বলা হয়েছে। তবে যে ৩০ জন ভক্ত পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন সেকথা উল্লেখ করা নেই।

নতুন সিলেবাসে কেন্দ্রীয় সরকারের বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াওকে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি অটল টানেলের কথাও রয়েছে। এই বইটিতে ভারতীয় সংবিধানের একটি অধ্যায় রয়েছে। ভারতীয়রা যে একসময় নিজের বাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলতে পারত না সেকথা এখানে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।
খবর : আজকাল ডট ইন।