শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে রামনবমী পালন
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৬ এপ্রিল : প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও শিলচর সোনাই রোডের মহাপ্রভু সরণীর শিলচর শঙ্করমঠ মঠ ও মিশনে নানান ধর্মীয় কার্যসূচির মধ্য দিয়ে রাম নবমী পালন করা হয়। এদিন সকাল বেলা থেকেই মিশন প্রাঙ্গনে রাম নবমীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, প্রথমে শ্রীরামচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, গীতা পাঠ, শ্রীরাম বন্দনা শ্রীরামচরিত পাঠ, ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন সহ দুপূরে উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ রামনবমী পালন তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এপ্রিলের শুরুতেই বাসন্তী পুজো। এটাই দেবী দুর্গার মূল পুজো। রামচন্দ্রের অকালবোধনের ফলে শরৎকালে সেই পুজো চালু হওয়ার পর ধীরে ধীরে সেটাই হয়ে উঠেছে দুর্গাপুজোর চেনা সময়কাল।কিন্তু পুরাণ অনুসারে, রাজা সুরথের হাতে মহামায়া বা দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়েছিল বসন্তকালে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষেই। সেনযুগের সময়কালে এই পুজোই মহাসমারোহে পালিত হত বলেই জানা যায়। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুসারে, মহাবিশ্বের রক্ষক ভগবান বিষ্ণু ধর্মের ক্ষতি রোধ করতে অযোধ্যার রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রীরাম রূপে অবতীর্ণ হন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে রাম নবমীতে মর্যাদার প্রতিমূর্তি ভগবান রামের পুজো করলে খ্যাতি এবং সৌভাগ্য আসে।

এদিন অন্যান্যদের মধ্যে সহযোগিতায় ছিলেন আত্মানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ, ইন্দ্রজিৎ দাস, সুজিত মিত্র, রঞ্জিত মিত্র, বিপ্লব দেব, বিউটি দে, রাকেশ মিত্র,শিখা দে, পিন্টু পাল এবং শ্রী ভগবত গীতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীরা।