ত্রিপুরা থেকে উদ্ধার শিলচরের যুবতী, গ্রেফতার পাচারকারী

বরাক তরঙ্গ, ১২ জানুয়ারি : সম্প্রতি শিলচরের নাগাটিলা এলাকা থেকে ২৪ বছরের এক যুবতীকে অপহরণ করে ত্রিপুরায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গেছিল এক যুবক। বুধবার রাতে পুলিশ ওই যুবতীকে ত্রিপুরা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে আটক করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। বৃহস্পতিবার শিলচরে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।

যুবতী নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবারের লোকেরা বহু তথ্য পুলিশের কাছে তুলে ধরেছিলেন। কেউ কেউ সন্দেহ করেছেন, এর পেছনে একটা পাচারকারী চক্র কাজ করছে যাদের মদত যোগাচ্ছে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী পিএফআই। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও তাদের তদন্তে এমন কোনও তথ্য উঠে আসেনি। পুলিশ সুপার নুমাল মাহাত্তা জানিয়েছেন, ওই যুবক এবং যুবতী আগে থেকে একজন আরেকজনকে চিনত। তবে যুবতীর পরিবারের লোকেরা যে অভিযোগ করছেন সেগুলো যাচাই করে দেখছে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতেই আমরা তাদের ত্রিপুরা থেকে উদ্ধার করেছি এবং ছেলেটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি এবং যেসব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আপাতত যে তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে ছেলেটি বাংলাদেশের বাসিন্দা নয়, সে ত্রিপুরার সোনামুড়া এলাকার যুবক, তার বয়স ২২ বছর। তাকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য থানায় রাখা হয়েছে এবং আগামীকাল আদালতে পেশ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য উঠে আসতে পারে।’

যে মেয়েটি নিখোঁজ হয়েছিল, সে প্রায় দু’বছর ধরে শহরের এক সুইমিং পুলের কর্মী হিসেবে কাজ করছিল সে। তার পরিবারের তরফে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল এতে বলা হয়েছে, এলাকায় কাঠমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত পাঞ্জাব থেকে আসা এক যুবক। সে মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় করে এবং একসময় তার কিছু আপত্তিজনক ভিডিও ও ফটো বানায় এবং সেগুলো দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েটিকে। তবে ওই সুইমিং পুলের কর্মীরা জানিয়েছেন তারা এমন কোন ঘটনা শুনতে পাননি। তারা বৃহস্পতিবার বলেন, এখানে অনিচ্ছাকৃত ভাবে একটা ধর্মীয় সুরসুরি দেওয়া হচ্ছে। যুবতীর প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে তবে তার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে সে আমাদের বলতে পারতো। আমরা আশাবাদী পুলিশের তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।’

পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী, যুবতীকে উদ্ধার করার পর শিলচরের এক শেল্টার হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মহিলা পুলিশের বিশেষ দল তার বয়ান সংগ্রহ করবে। তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

Author

Spread the News