কলেজস্তরে পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত আসন রয়েছে : পেগু

বরাক তরঙ্গ, ২৫ জুলাই : শিলচরের গুরুচরণ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে ২০২৩-এর ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনও নড়াচড়া টের পাওয়া যাচ্ছে না। এবার এ নিয়ে আশার বার্তা শোনালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ রণোজ পেণ্ড। তিনি জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই পঞ্জিয়ক সহ অন্যান্য পদে নিযুক্তি দেওয়া হবে।

মন্ত্রী জানান, ২০২৩-এর ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তি জারির পর লোকসভা নির্বাচনের দরুন আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে হয়। তবে নির্বাচনপর্ব পার হয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে পদ সৃষ্টি এবং নিযুক্তি প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজও সেরে শীঘ্রই এই কলেজকে পূর্ণাঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ দেওয়া হবে।

হাইলাকান্দিতে সারা অসম প্রাথমিক শিক্ষক সম্মেলনীর অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছেন মন্ত্রী। আগামীকাল বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দিতে কার্যসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। এর আগে বুধবার তিনি শিলচরে জেলাশাসকের কার্যালয়ে বরাকের তিন জেলার শিক্ষা বিভাগের য়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিভাগের কাজকর্ম নিয়ে পরিচালনা করেন।

কলেজস্তরে পড়াশোনার জন্য পর্যাপ্ত আসন রয়েছে : পেগু

বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জিসি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে এভাবে আশার বার্তা শোনান।

বর্তমানে বিভিন্ন কলেজে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অসমে কলেজস্তরে পড়াশোনার জন্য আসন পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে সমস্যা হচ্ছে, পড়ুয়াদের বেশির ভাগই বিশেষ কিছু কলেজে ভর্তি হতে চাইছে। কিন্তু সবাইকে তো বিশেষ কিছু কলেজে ভর্তি করা সম্ভব নয়। কথার সূত্রে তিনি বলেন, এই শিলচরে সবাই যদি জিসি কলেজ বা কাছাড় কলেজে ভর্তি হতে চান, তবে তো তাদের সেই সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। যারা বিশেষ কিছু কলেজে সুযোগ পাচ্ছেন না তাদের অন্যান্য কলেজে ভর্তি হতে হবে।

‘শিক্ষাসেতু অ্যাপ’ নিয়ে বর্তমানে যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, এ নিয়ে তিনি বলেন ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার জন্য গুয়াহাটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইআইটি)-র ডিরেক্টর, গুয়াহাটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি)-র এক অধ্যাপক এবং কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট এক বিশেষজ্ঞকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট পেশ করবে। রিপোর্টে যদি দেখা যায় ‘শিক্ষাসেতু অ্যাপ’-এ খামতি রয়েছে তবে সে অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরাক উপত্যকার তিন জেলায় বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ৪২টি বাংলার বিষয় শিক্ষকের পদ খালি থাকা নিয়ে তিনি জানান, এদিন পর্যালোচনা বৈঠকে সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। শীঘ্রই এসব পদে শিক্ষক নিযুক্তি দেওয়া হবে।

২০২২ সালে শিলচরে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে নরসিং হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল এবং কাছাড় হাইস্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, এ নিয়ে মন্ত্রী জানান অর্থ মঞ্জুর হয়ে গেছে। শীঘ্রই তা ‘রিলিজ’ করা হবে।

Author

Spread the News