নেটিভ ফরেনার্স দ্যা ইন্দো-পর্তুগিজ কমিউনিটি অব কাছাড় বইয়ের উন্মোচন
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৭ অক্টোবর : নেটিভ ফরেনার্স দ্যা ইন্দো-পর্তুগিজ কমিউনিটি অব কাছাড় বইয়ের উন্মোচন করা হল। সোমবার শিলচর হলিক্রস স্কুলের একটি প্রেক্ষাগৃহে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক শিবশঙ্কর মজুমদার এবং শিক্ষাবিদ ও লেখক ফাদার রেভ. পুষ্পারাজের যৌথভাবে লেখা তথ্যভিত্তিক “নেটিভ ফরেনার্স” দ্যা ইন্দু-পর্তুগিজ কমিউনিটি বইটির আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হয়। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত প্রেরণা ভারতী হিন্দি পত্রিকার সম্পাদক দিলীপ কুমার। অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি দিলীপ কুমার বলেন, এই বইটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ একটি গ্রন্থ। ছাত্রছাত্রীরা এ গ্রন্থটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন। এই গ্রন্থটি সবার পড়া উচিত। রেভ.ফাদার পুষ্পরাজ বলেন, গ্রন্থটি সহ লেখক শিবশঙ্কর মজুমদারের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বরাক উপত্যকার ইতিহাস সকলের জানা উচিত, বরাক উপত্যকায় বিভিন্ন জাতীয় সম্প্রদায় রয়েছে, এই গ্রন্থে বদুরপুরের বন্দাশীল গ্রামের পুত্র বীজ মানুষদের সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় ইতিহাস জানার অধ্যয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো, বন্দাশীল গ্ৰামে ক্যাথলিকরা বাংলা ভাষায় কথা বলেন, তারা বাঙালি পোশাক ও পরিচ্ছদ পরিধান করেন, তারা স্থানীয় বাঙালি খাবার এবং বন্ধনপ্রণালীও গ্রহণ করেন। দীর্ঘ বছর আগে তাদের পূর্বপুরুষেরা ব্যবসাক্ষেত্রে এই বদুরপুরের বন্দাশীল গ্রামে এসেছিল এবং এখানে বসবাস করছিলেন। এরপর থেকে তাদের এখানে বসবাস করছেন এবং এখানের জীবনশৈলী বেঁচে নিয়েছেন।

লেখক শিব শংকর মজুমদার বলেন, এই বইটি কাছাড়ের হিন্দু-পর্তুগিজ সম্প্রদায়ের দৃঢ়তা এবং সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য, যা তাদের যাত্রা ও পরিচয়কে ধারণ করে,এরা আমাদের উৎসবগুলো পালন করেন, যদিও তারা খ্রিষ্টান। তারা কিছু হিন্দু সংস্কৃতি ও প্রথাও পালন করে থাকেন। বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে এই সম্প্রদায় সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছি, প্রান্তিক সংস্কৃতির অধ্যয়ন আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় যাতে এইগুলো রেকর্ড ও ডকুমেন্ট করা যায়। শেষে লেখদ্বয় উভয়েই তাঁদের লেখার পেছনে প্রেরণা তুলে ধরেন এবং কাছাড়ে বসবাসকারী এই প্রাচীন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও যাপনের গুরুত্বের উপর জোর দেন। এই বইটি অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টে সহজেই পাওয়া যাবে বলে জানান তাঁরা।