আল হিরার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর শিলচর নিরাময়ের

বরাক তরঙ্গ, ১২ জুলাই : শিলচর নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থানের সঙ্গে মিলে যোগ শিক্ষার প্রসারের কাজে এগিয়ে এল বদরপুর আল হীরা ন্যাশনাল সিনিয়র হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল। স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সমাজের বিভিন্ন বয়সিদের শারীরিক-মানসিক বিকাশের সংকল্প নিয়ে শুক্রবার নিরাময়-এর সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করল আল হিরা স্কুল। এই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের তরফে সেক্রেটারি সেলিম আহমেদ খান ও নিরাময়-এর পক্ষে চেয়ারম্যান ডাঃ অজিতকুমার ভট্টাচার্য মউ-এ স্বাক্ষর করেন। উঅস্থিত ছিলেন নিরাময়-এর উপদেষ্টা বেণুলাল বর্মণ, ডিরেক্টর শতাক্ষী ভট্টাচার্য, আল হিরা স্কুল ম্যানেজমেন্টের অন্যতম কর্মকর্তা কবীর আহমদ সহ অন্যরা।
এ উপলক্ষে বদরপুর আল হিরা সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের কার্যালয়ে যোগ শিক্ষা সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের উদ্দেশে এক সভাও আয়োজিত হয় এ দিন। এতে যোগ শিক্ষার বিভিন্ন কোর্স, সচেতনতা কর্মসূচি এ সবের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

আল হীরার সেক্রেটারি সেলিম আহমদ বলেন, আল হিরা স্কুল তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই যোগ শিক্ষাকে প্রাধান্যতা দিয়েছে। নিয়মিত যোগ-এর ক্লাস হচ্ছে স্কুল ক্যাম্পাসে। তাতে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন প্রশিক্ষার্থীরা।প্রসপেক্টাসেও এ সবের উল্লেখ রয়েছে। তবে, সময়ের সঙ্গে বিকশিত হওয়া দরকার। শিক্ষার গুণগত মান, সুযোগ-সুবিধা এ সব বিষয়ে পড়ুয়াদের সচেতন করা দরকার। এই চিন্তাধারা নিয়েই  ভারত সরকারের যোগ বোর্ড (অযূষমন্ত্রক) ও আইওয়াইএ স্বীকৃত  নিরাময়-এর সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে আল হিরা।

আল হিরার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর শিলচর নিরাময়ের

তিনি আরও বলেন, সাধারণ পাঠ্যক্রমের বাইরেও অনেক বিষয় রয়েছে, যেখানে প্রতিভা থাকলে একজন পড়ুয়া জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে। আজকের দিকে যোগ শিক্ষার পরিসর শুধুমাত্র নিজের সর্বাঙ্গীন সুস্থতার মধ্যে আটকে নেই, পেশাদার দিক দিয়েও সমগ্র বিশ্বে যোগ এক বিশাল বিষয়। যোগ বিষয়ে পড়াশোনা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠার সম্পূর্ণ সুযোগ রয়েছে। এক কথায় শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ, স্বতঃস্ফূর্ত জীবনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতেও সক্ষম যোগ শিক্ষা। নিরাময়ের সঙ্গে এই চুক্তি পড়ুয়াদের জন্য লাভদায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আল হিরার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর শিলচর নিরাময়ের

নিরাময়ের বেণুলাল বর্মণ, শতাক্ষী ভট্টাচার্যদের কথায়, যোগ শিক্ষা নিয়ে স্কুলের আগ্রহ ও ভাবনা সঠিক অর্থেই সাধুবাদের দাবিদার। নিরাময় ও আল হিরার সম্মিলিত প্রয়াসে পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রত্যেকেই লাভবান হবেন, মন্তব্য করেন তাঁরা। এ দিন, নিরাময়ের তরফে স্মারক ও অ্যাপ্রিসিয়েশন লেটার তুলে দেওয়া হয় আল হিরার করমকর্তাদের হাতে। নিরাময়-এর পদাধিকারীদেরও সংবর্ধনা জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Author

Spread the News