পুরান চান্দপুরে ইসলামি সমাবেশ ও পুরান মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন
বরাক তরঙ্গ, ১১ ডিসেম্বর : পাথারকান্দির পুরান চান্দপুরে মওলানা আজির উদ্দিন রাহঃ স্মৃতি মুসাবাকাতুল কোরান এবং শত বছর পুরনো পুরান চান্দপুর জামে মসজিদের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিরাট ইসলামি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শুরুতে লক্ষীপুর আঞ্চলিক ভিত্তিক ছবাহী মক্তবগুলোর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোরান পাঠ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বমোট ১৯ টি মক্তবের ৪৭ জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন ইসমাইলিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মওলানা মশহুদ আহমদ, দারুল উলুম বদরপুরের শিক্ষক মওলানা জাহিদুল ইসলাম তাপাদার, শায়খ আব্দুল মুকিত জান্নাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মওলানা আফতার হোসেন। প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণার পর এতে প্রথম স্থান অর্জন করে দক্ষিণ পশ্চিম কেউটি নতুন ছবাহি মক্তবের ছাত্র তৈয়ীবুর রহমান। তার হাতে নগদ দশ হাজার টাকা ও শংসাপত্র সহ উপহার সামগ্রী তুলে দেন উত্তর পূর্ব ভারতের আমিরে শরিয়ত মওলানা ইউসুফ আলি। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে উত্তর পশ্চিম জুড়বাড়ি ছবাহি মক্তবের ছাত্র আজহার আহমদ। তাকে নগদ ছয় হাজার টাকা সহ শংসাপত্র ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। তৃতীয় স্থান অর্জন করে জুড়বাড়ী মাহমুদিয়া ইসলামিয়া ছবাহি মক্তবের ছাত্রী নজরানা পারভিন। তাকে হাজার টাকা সহ শংসাপত্র ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া বিশেষ স্থানাধিকারী আরও সাতজনকে শংসাপত্র ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন হাজি মুশাররফ আলি এম ই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল কাদির। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন মুসাবাকা কমিটির সভাপতি মওলানা জামিলুর রহমান ও সম্পাদক মুফতি রশিদ আহমদ কাসিমি।
এ দিকে, শনিবার আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূর্ব ভারতের আমিরে শরিয়ত মওলানা ইউসুফ আলি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ জেলা নদওয়ার সভাপতি মুফতি আব্দুল বাসিত কাসিমি, জেলা কাজিয়ে শরিয়ত মওলানা ইমদাদুর রহমান।এছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ জেলা নদওয়ার সাধারণ সম্পাদক এটিএম জাকারিয়া কাসিমি, লক্ষীপুর আঞ্চলিক নদওয়ার সম্পাদক মওলানা আছকর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সফল ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন আয়োজক কমিটির সম্পাদক মুফতি রশিদ আহমদ কাসিমি।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।