পৌষমেলায় বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কতি জড়িত : কমলাক্ষ

কাটলিছড়ায় তিনদিনব্যাপী পৌষমেলা শুরু, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এবি লস্কর , লালা।
বরাক তরঙ্গ, ২০ ডিসেম্বর : পৌষমেলায় বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কতি জড়িত। বাঙালিদের অন্যতম উৎসব হিসেবে ধরে রাখার আহ্বান জানালেন বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। শুক্রবার কাটলিছড়ায় তিনদিনের পৌষমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই আহ্বান রাখেন তিনি। চার্লমাস বিদ্যালয়ের মাঠে মেলা সূচনা করেন প্রধান অতিথি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. বিশ্বতোষ চৌধুরী ও মুখ্য অতিথি কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। সঙ্গে ছিলেন ডিএফও অখিল দত্ত, বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঝিমলি ভট্রাচার্য, লালা রুরাল কলেজের অধ্যক্ষ ড. হিমব্রত চক্রবর্তী, হাইলাকান্দি এসএস কলেজের অধ্যক্ষ হিলাল উদ্দিন লস্কর, ড. শুভজিৎ চক্রবর্তী, লোকসঙ্গীতের বিশি‌ষ্ট শিল্পী বিধান লস্কর, আলগাপুর কলেজের অধ্যক্ষ ড. বি কর সহ মেলা কমিটি কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠানের শুরু করার আগে প্রয়াত তবলা সম্রাট জাকির হুসেন ও স্থানীয় প্রয়াত লোক সঙ্গীত শিল্পী মানিক নাথ ভৌমিকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্বাঞ্জলি দেন অতিথিরা। একই সঙ্গে পৌষমেলার ফলক উন্মোচিত হয়।

মুখ্য অতিথি বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, পৌষ মেলা বাঙালিদের অন্যতম উৎসব হিসেবে ধরে রাখতে হবে। এই মেলার মাধ্যমে বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কতি জড়িত। তাই বরাক উপত্যকার তিন জেলার মধ্যে কাটলিছড়ায় তিনদিনের পৌষ মেলা আয়োজন প্রশংসনীয়।

পৌষমেলায় বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কতি জড়িত : কমলাক্ষ

প্রধান বক্তা আসাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান বিশ্বতোষ চৌধুরী বলেন, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কতি, সভ্যতা বাচিয়ে রাখতে হলে বা আগামী প্রজন্মকে দেখানোর জন্য এধরনের মেলা অত্যন্ত দরকার। এই মেলা প্রতি বছর চলতে থাকুক। বলেন, আমিত্ব ছেড়ে  নিজেকে যখন বহু মানুষের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারবেন। সেটাই তখন মেলায় পরিনত হয়।

পৌষমেলায় বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কতি জড়িত : কমলাক্ষ

এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কাটলিছড়ার পৌষমেলা উপলক্ষে হাইলাকান্দিবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পেয়েছি তা হাজার হাজার বছর আগের ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। অসমের ইতিহাস সমৃদ্ধ সভ্যতাও তাদের অবদান দ্বারা চিহ্নিত, যা রাজ্যের অনন্য পরিচয় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই পটভূমিতে, এটি সত্যিই আনন্দের যে পৌষমেলা উদযাপন কমিটি ২০ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাইলাকান্দির কাটলিছড়ায় পৌষমেলা উদযাপন করছে। যা সত্যিই এক আনন্দজনক ব্যাপার। তিনি আয়োজকদের জন্যও শুভেচ্ছা  জ্ঞাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রী আশাব্যক্ত করে বলেন, এই ধরনের বিশাল পরিসরে আয়োজিত পৌষমেলা রাজ্য জুড়ে এবং এর বাইরে থেকে সাংস্কৃতিক উৎসাহী দর্শকদের আকর্ষণ করবে।

পৌষমেলায় বাঙালির কৃষ্টি-সংস্কতি জড়িত : কমলাক্ষ

Author

Spread the News