গুয়াহাটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর পচা লাশ উদ্ধার, পলাতক লিভ ইন করা ব্যক্তি

বরাক তরঙ্গ, ১৩ নভেম্বর : গুয়াহাটির ছয় মাইলে পূর্বাশা অ্যাপার্টমেন্টের একটি ফ্ল্যাটে পাওয়া গেল এক তরুণীর দেহ। নিহত অঞ্জু প্রায় তিন মাস ধরে মণি খান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে অ্যাপার্টমেন্টে লিভ-ইন করছিলেন। তবে হাওলির অভিযুক্ত মণি খান বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর অঞ্জুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মণির। প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে ফ্ল্যাটে ছিলেন না মণি খান। অঞ্জুর লাশ উদ্ধারের পর হঠাৎ মণির মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় এবং নিখোঁজ হয়।

রবিবার নগরীর চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ছয় মাইলের একটি ফ্ল্যাটে এক তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে। দুর্গন্ধে আচ্ছন্ন হওয়ার পর অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দারা দুর্গন্ধের কথা দিসপুর পুলিশকে জানান। ফ্ল্যাটের ভেতরে বিছানায় পড়ে থাকা তরুণীর লাশ দেখতে পায় পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, অঞ্জু দর্জির সঙ্গে বসবাসকারী মণি খান তাকে হত্যা করেছে। পুলিশ ধারণা করছে কাঠ ব্যবসায়ী মণি খানের আগেও অঞ্জুকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। একসঙ্গে থাকার পর আসামি মণি হঠাৎ করেই অঞ্জুকে ঘরের ভেতরে হত্যা করে এবং বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। পুলিশ এখনও মণির কোনও খবর পায়নি।

অঞ্জু প্রায় চার মাস আগে তার বোকাজানের বাড়ি থেকে গুয়াহাটিতে এসেছিলেন বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতে। গত তিন মাস ধরে মণি খানের সঙ্গে গুয়াহাটিতে বসবাস করছেন অঞ্জু। কিন্তু বোকাজানে অঞ্জুর পরিবার মণি খানকে চিনত না। শুধুমাত্র ভিডিও কলে অঞ্জু পরিবারকে দেখিয়ে মণির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। পরিবার গত চারদিন ধরে অঞ্জুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না।

পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বর্তমানে মণি খানকে বরপেটা জেলার হাওলির বারবালা গ্রামে তার বাড়িতে খুঁজছে। নিহতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে কীভাবে অঞ্জু দর্জিকে হত্যা করা হয়েছে। ছবি : অসমিয়া প্রতিদিন।

Author

Spread the News