কমলাক্ষের বিরুদ্ধে অকারণে মুখ্যমন্ত্রী ভিজিল্যান্স সেলের তদন্ত : বিডিএফ
বরাক তরঙ্গ, ১৪ নভেম্বর : বরাকের স্বার্থে সরব থাকার জন্যই বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বিরুদ্ধে অকারণে মুখ্যমন্ত্রী ভিজিল্যান্স সেলের তদন্ত বলে মনে করে বিডিএফ। সোমবার বিজয়া দশমী ও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বাড়িতে গিয়ে সৌজন্যমুলক সাক্ষাত করেন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর এক প্রতিনিধিদল। পরে সাংবাদিকদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিল্যান্স সেল দ্বারা বিধায়কদের হেনস্থার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিডিএফ সদস্যরা। বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ সম্পূর্ন নিয়মনীতি মেনে একটি চা বাগানের শেয়ার ক্রয় করেছেন। কিন্তু তারজন্য তাঁকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিল্যান্স সেলের পক্ষ থেকে যেভাবে বারবার তদন্তের নামে হেনস্থা করা হচ্ছে তা যে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ও আক্রোশমুলক তাতে কোন সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, কমলাক্ষই বরাকের একমাত্র বিধায়ক যিনি বরাক উপত্যকার প্রতি বৈষম্য এবং এখানকার জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে বিধানসভা তথা বাইরে সরব থাকেন। তাঁর গণতান্ত্রিক কন্ঠকে রোধ করার জন্যই কি এই ধরনের চক্রান্ত? তিনি বলেন এনআরসি, ডি ভোটার, ডিটেনশন সমস্যা, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে বরাকের প্রার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চনা,ডিলিমিটেশন করে বিধানসভা আসন কর্তন, সরকারি প্রশ্রয়ে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় উগ্র জাতীয়তাবাদীদের তান্ডব, সবকিছুর বিরুদ্ধে বরাকের বিধায়কদের মধ্যে একমাত্র করিমগঞ্জের বিধায়ককেই সরব হতে দেখা গেছে। জয়দীপ বলেন, এ রাজ্যের প্রচুর বিধায়ক মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছেন। বিশেষতঃ বরাকের বিভিন্ন সিন্ডিকেটের অবৈধ টাকা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে শাসকদলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। সবাইকে বাদ দিয়ে শুধু করিমগঞ্জের বিধায়ককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিলেন্স সেলের এই তোড়জোড়ের একমাত্র উদ্দেশ্য যাতে ভয় দেখিয়ে এই বিধায়ককে দাবিয়ে রাখা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
তিনি বলেন, যদি মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিল্যান্স সেলকে তদন্ত করতেই হবে তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষায় কি করে বরাকের শুধু এক শতাংশ প্রার্থী উত্তীর্ণ হন তা নিয়ে তদন্ত হোক। কি উদ্দেশ্যে ডিলিমিটেশন করে বরাকের দুটি আসন অনৈতিক ভাবে কর্তন করা হল তা নিয়ে তদন্ত হোক। কেন কেন্দ্রীয় সরকার তথা রেল মন্ত্রকের সবুজ সংকেত স্বত্তেও ভাষা শহিদ স্টেশন নামকরণ আটকে আছে তা নিয়ে তদন্ত করুক মুখ্যমন্ত্রীর ভিজিলেন্স সেল। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হৃষীকেশ দে, হারাধন দত্ত, বিশ্বজিৎ পাল প্রমুখ।