রাঙামাটি সড়কের উপর শতবর্ষ পুরনো বটগাছ উপড়ে পড়ল, ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবার
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৩০ মে : প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন হঠাৎ করেই থমকে দিল পাথারকান্দি বিধানসভার অসম-মিজোরাম-ত্রিপুরা সীমান্তের রাঙামাটির স্বাভাবিক ছন্দ। কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে মাটি নরম হয়ে গিয়ে উপড়ে পড়ল একটি শতবর্ষী বিশাল বটগাছ, আর তাতেই এক রাতে থমকে গেল গুরুত্বপূর্ণ অসম-মিজোরাম-ত্রিপুরা অন্তঃরাজ্য সড়ক যোগাযোগ। লোকালয়ের উপর গাছ ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দু’টি ঘর, আর রাঙামাটি থেকে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও অসমমুখী যোগাযোগ একযোগে ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে তৎপর প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি-সহ স্থানীয়দের উদ্যোগে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে বাজারিছড়া থানাধীন রাঙামাটি এলাকায় ঘটেছে এক বিপর্যয়কর ঘটনা। এতে বৃহস্পতিবার রাতে লোয়াইরপোয়া-কানমুন অন্তঃরাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত একটি প্রায় শতবর্ষ পুরনো বটগাছ আকস্মিকভাবে উপড়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের উপর। ফলে রাত থেকে শুরু করে শুক্রবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ছিল ওই রুটের যান চলাচল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছটির একটি বিশাল ডালপালা আশেপাশের ঘরের উপর আছড়ে পড়ে। এতে এই এলাকার দুই বাসিন্দা—মঞ্জু দেবরায় ও লিপিকা বৈদ্যের বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান পাথারকান্দির বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের নির্দেশে লোয়াইরপোয়া জেলা পরিষদের সদস্য স্বপন দাস, বালিপিপলা গ্রাম পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত আঞ্চলিক সদস্যা লাভলি মালাকার এবং দলীয় কর্মীরা শ্রীমৎ দাস, মিটন চন্দ, হিমু চন্দ, টুটু চন্দ ও বিশ্বজিৎ গোয়ালা ও অমিত দেব। তাঁদের সহায়তায় রাঙামাটি বিট অফিসার প্রাঞ্জল দাসের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার সকালে কেটে সরানো হয়। এতে সড়কে পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। গাছটি পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত মঞ্জু দেবরায় ও লিপিকা বৈদ্যরা সরকারি সহায়তার দিকে চেয়ে আছেন। তাঁদের দাবি, দ্রুত পুনর্গঠন সহ যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক, যাতে তাঁরা আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।
