কাছাড়ে তিন দিনের স্বাস্থ্য উৎসবের সমাপ্তি, ৪২টি হাসপাতালে মুল্যায়ন
বরাক তরঙ্গ, ২২ নভেম্বর : জনস্বাস্থ্যের পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সরকারি স্বাস্থ্য সেবাকে আরও গণমুখী করে তুলতে সারা রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাছাড় জেলায়ও শেষ হল তিনদিনের স্বাস্থ্য উৎসব ২০২৩। গত বছরের শীর্ষ স্থান দখলকারী কাছাড় জেলায় এবারেও ৪২ টি হাসপাতালকে স্বাস্থ্য উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরমধ্যে একটি জেলা হাসপাতাল (সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল অসামরিক হাসপাতাল), ৭টি কম্যুনিটি হেল্থ সেন্টার এবং ৩৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। গত সোমবার শুরু হয়ে বুধবার এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।
এবারের উৎসবে তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলির পরিসেবার গুণগত মান, পরিকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা খতিয়ে দেখতে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন থেকে জেলা আয়ুক্ত রোহনকুমার ঝা সহ নিয়োগ করা হয় ৩০ জন বাহ্যিক মুল্যায়নকারী। শিলচরে অসম সরকারের সংখ্যালঘু কল্যান ও উন্নয়ন বিভাগের যুগ্ম সচিব আবুল লেইস চৌধুরী এক্সটার্নাল ইভালিউটর হিসেবে যোগ দেন। একই কাজে সরকারি নির্দেশে যোগ দেন সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায়, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, খলিল উদ্দিন মজুমদার, কাছাড় জেলা পরিষদের সভাপতি অমিতাভ রায়, পুলিশ সুপার নুমুল মাহাতো, ডিআইজি কঙ্কনজ্যোতি শইকিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণকুমার দাস, অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত ড০ খালেদা সুলতানা আহমেদ (স্বাস্থ্য), যুবরাজ বড়ঠাকুর, মনসুর আহমদ লস্কর, অন্তরা সেন, সুদীপ নাথ, শাখা আধিকারিক জুনালি দেবী (স্বাস্থ্য) সহ জেলার সব অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত, সহকারী আয়ুক্ত, সার্কল অফিসার ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের ১৪ জন বরিষ্ট আধিকারিক এবং শিলচর মেডিক্যাল কলেজের ১৪ জন চিকিৎসক। নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা হাসপাতালগুলির টেকনিক্যাল বিষয় খতিয়ে দেখেন। অন্যান্য নিয়োগপ্রাপ্ত আধিকারিকরা হাসপাতাল কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোগত বৈশিষ্ট্যগুলির মুল্যায়ন করেন। মুল্যায়ন শেষে প্রতিটি হাসপাতাল চত্বরে গাছের চারা রোপন করেন মুল্যায়নকারীরা।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য উৎসবের মাসাধিককাল আগে থেকেই জেলা আয়ুক্ত রোহনকুমার ঝা এবং অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত খালেদা সুলতানা আহমেদের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় প্রস্তুতি। দফায় দফায় করা হয় অভ্যন্তরীণ মুল্যায়ন। সে মরিয়া চেষ্টার উদ্দেশ্যে একটাই, এবারেও যেন শীর্ষ স্থান অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব হয়। উল্লেখ্য, রাজ্যের মধ্যে এবারের স্বাস্থ্য উৎসব হচ্ছে দ্বীতিয় আয়োজন। প্রথমবার রাজ্যের মধ্যে কাছাড় জেলা প্রথম স্থান দখল করে। গতবারের ৪২ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছিল ১৯টি, ‘বি’ গ্রেড পেয়েছিল ২২টি এবং ‘সি’ গ্রেড ছিল ১টি। এবারে আরো অনেক ভালো ফলাফলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ আশুতোষ বর্মণ, এনএইচএমের জেলা কর্মসূচি প্রবন্ধক রাহুল ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদক : ইকবাল লস্কর, শিলচর।