দিদির নাকে কামড় কাণ্ড : হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন ভগ্নিপতি, পাল্টা  টিঙ্কুর

বরাক তরঙ্গ, ৫ নভেম্বর : দিদি রিঙ্কুরাণি দাসের নাক কামড়ে ক্ষত বিক্ষত করার ঘটনা নিয়ে এবার পাল্টা অভিযোগ করলেন বিজেপি নেত্রী টিঙ্কু পাল ও তার অন্য বোন রিনা নাথ। তাদের দাবি, তারা মোটেই রিঙ্কুরাণি দাসের নাকে কামড় বসাননি। আসলে পরিকল্পনা করে তাদের দু’জনকে ডেকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। সে সময় ঠেলা ধাক্কার মাঝে রিঙ্কুরাণির স্বামী শশাঙ্ক দাসের দায়ের আঘাতে ঘটে গেছে ঘটনাটি।

বিজেপি কিষান মোর্চা কাছাড় জেলা কমিটির সহ-সভাপতি টিঙ্কু পাল ও বোন রিতারাণি নাথ রবিবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বসে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এভাবে অভিযোগ করে বলেন, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বর্তমানে মামলা চলছে। শুক্রবার ঘটনার দিন ভগ্নিপতি শশাঙ্ক দাস তাদের ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। ভগ্নিপতির বাড়িতে যাওয়ার পর দেখেন সেখানে রয়েছেন তাদের মা মায়ারানী পাল, দুই ভাই সুরজ পাল এবং স্বামী পাল, ভগ্নিপতি শশাঙ্ক দাস সহ অন্যান্যরা। সবাই মিলে তাদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। এতে তারা অরাজি হলে ভগ্নিপতি শশাঙ্ক দাস দা নিয়ে এগিয়ে এসে রিতা নাথের গলায় কোপ বসাতে যান। রিতা কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হলেও দায়ের কোপে তার গালে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এসবের মাঝে ঠেলা ধাক্কা শুরু হলে কোনওভাবে ভগ্নিপতি শশাঙ্ক দাসের হাতে থাকা দায়ের আঘাত লেগে যায় তারই স্ত্রী রিঙ্কুরাণি দাসের (তাদের দিদি) নাকে। এই ঘটনার পর মা, ভাই ও ভগ্নিপতিরা মিলে তাদের বেধড়ক মারপিট করেন। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের লোকেরা এগিয়ে এলে তারা নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হন। এসবের পর নিজেদের অপরাধ চাপা দিতে শশাঙ্ক দাসরা তাদের বিরুদ্ধে রিঙ্কু রানীর নাক কামড়ে খুবলে নেবার মিথ্যা অভিযোগ এনে আগে ভাগেই  দায়ের করে বসেন এজাহার।
    

রীতা নাথ অভিযোগ করেন, তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু শশাঙ্ক দাসরা মিথ্যা অভিযোগ এনে আগেভাগে মামলা দায়ের করে তাদের বিপাকে ফেলে দিয়েছেন। বর্তমানে গ্রেফতারের ভয়ে তিনি তার মেহেরপুর পুষ্প বিহার লেনের বাড়িতে যেতে পারছেন না। প্রতিবেশীদের মারফত খবর পেয়েছেন, তার বাড়িতে নাকি চুরি হয়েছে। এর পেছনে ভগ্নিপতি এবং ভাইদের চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, সবকিছুর মাঝে মা মায়ারানি পাল যেভাবে তাদের বিরুদ্ধচারণ করছেন, এতে তিনি ভেঙ্গে পড়েছেন মানসিকভাবে। বর্তমানে তার আশা, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে ব্যাপারটার তদন্ত করে অবশ্যই সুবিচার করবে।

Author

Spread the News