বরাকে বজ্রপাতে সহকারি বিডিও সহ মৃত্যু দুই জনের

বরাক তরঙ্গ, ১৭ এপ্রিল : বজ্রপাতে বরাকে দুই ব্যক্তি প্রাণ হারালেন। বুধবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি ঘটনা লালার ও আরেকটি ঘটনা রামকৃষ্ণনগের। প্রথম ঘটনাটি ঘটে সকাল নয়টা নাগাদ লালার রাঙাউরিতে। বজ্রপাতে মৃত্যু হয় লালা ডেভোলাপমেণ্ট ব্লকের সহকারী বিডিও বছর ৫৫ র খলিল উদ্দিন মজুমদারের। আচমকা বজ্রপাতে মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন খলিল উদ্দিন মজুমদার। তাঁকে হাইলাকান্দি এসকে রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করা হয়। হাইলাকান্দি এসকে রায় হাসপাতাল থেকে শিলচরে রওয়ানা হওয়ার আগে হাসপাতালেই প্রাণ হারান তিনি। রাঙ্গাউটি প্রথম খণ্ডের বাসিন্দা খলিল উদ্দিন মজুমদার বাড়ির পুকুর পারে বজ্রপাতে আহত হয়ে প্রাণ হারান। মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুইপুত্র, সহ গুণগ্রাহী অনেক আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। প্রয়াতের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বরাকে বজ্রপাতে সহকারি বিডিও সহ মৃত্যু দুই জনের
সহকারী বিডিও খলিল উদ্দিন মজুমদারের ফাইল ছবি।

দ্বিতীয় ঘটনাটি রামকৃষ্ণনগরের টেঙ্গারগুলের। প্রাণ হরাণ নয়াটিলা জিপির চাঁদখানি গ্রামের আব্দুল কালাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি। জানা গেছে, হতভাগা আব্দুল কালাম জল তোলার পাম্প আনতে উনার দুই সঙ্গীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম টেঙ্গারগুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গীদের বাধা উপেক্ষা করে বুধবার দুপুরে প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে একা বাড়ি ফিরতে গিয়ে বিপত্তিতে পড়েন‌ তিনি। খোলা মাঠে টাওয়ারের পাশে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বজ্রাঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। সে সময় আশপাশে কেউই ছিলেন না। কিন্তু দীর্ঘ সময় তিনি বাড়িতে না ফেরায় পরিবার ও গ্রামের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এতে মাঠের মধ্যে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে রামকৃষ্ণনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অকাল মৃত্যুতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তাঁর পরিবার। সাত ও নয় বছরের দুই ছেলে মুরাদ আহমেদ ও মারুফ আহমেদকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। ফলে হতভাগা ঐ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রের বিধায়ক বিজয় মালাকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Author

Spread the News