এনআইটি-র পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ, ভাঙচুর প্রায় দশটি গাড়ি, লাঠিচার্য
বরাক তরঙ্গ, ১৫ সেপ্টেম্বর : পড়ুয়ার আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে শিলচর এনআইটি পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিল। ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা সাংবাদিক, পুলিশ সহ এনআইটি কর্তৃপক্ষের প্রায় দশটি গাড়িতে ভাঙচুর চালালো। এরমধ্যে রয়েছে কয়েকটি স্কুটিও। শুক্রবার রাতে পড়ুয়া কুচ বোকারের নিথর দেহ আনার পর পড়ুয়ারা অ্যাকাডেমিক ডিন বিকে রায়কে অভিযুক্ত করে শাস্তির দাবি তুলে উত্তাল করে তুলেন এনআইটি চত্বর। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাঙ্গিরখাড়ির পুলিশ দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। সন্ধ্যা রাতে প্রথম দফায় উত্তেজনার পর পুলিশ সুপার নুমুল মাহাতো পড়ুয়াদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে ডিনকে ঘেরাও মুক্ত করেন নিয়ে আসেন।
এরপর রাত দশটা নাগাদ পুলিশ সুপার পড়ুয়াদের নিয়ে বাইরে আলোচনা শুরু করেন। এর মধ্যেই কোন এক ব্যক্তি একটি প্লাস্টিক বোতল দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে। বোতলটি এসপির মুখে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি লাঠিচার্জ করতে নির্দেশ দেন। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে পড়াদের মধ্যে ক্ষোভের পারদ আরও বেড়ে যায়। শুরু হয় দুন্ধুমার কাণ্ড। ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা প্রায় দশ টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এরমধ্যে সাংবাদিক মকসুদুল চৌধুরীর একটি চার চাকার বাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি ৪-৫টি স্কুটিও ভাঙচুর করে। এতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।