কোটা : মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, মৃত্যু সাংবাদিকের

১৮ জুলাই : কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশো। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই কিশোর ও তরুণ।

এ দিকে, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের সাহস বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। শিক্ষার্থীদের মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্কের মোড়ে এলে তিনি ছিলেন সবার আগে। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করলেও সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে থাকেন। এক এক করে কয়েকটি বুলেট গায়ে লাগে। শেষমূহূর্তে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

কোটা : মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, মৃত্যু সাংবাদিকের
শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিহত সাংবাদিক হাসান মেহেদি ঢাকা টাইমস-এ কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ২৪-এর রিপোর্টার ছিলেন।

কোটা : মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, মৃত্যু সাংবাদিকের
মৃত সাংবাদিক ইমন মিয়া।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। মেহেদির ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত মেহেদীর ৭ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি পরিবারসহ যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

কোটা : মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, মৃত্যু সাংবাদিকের

এ দিকে, নরসিংদীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাহমিদ তামিম (১৫) ও মহম্মদ ইমন মিয়াঁ (২২) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে পটিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র মহাম্মদ ইমাদ (১৮) নিহত হয়েছেন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২২ বছরের আরেক তরুণের। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।উত্তরায় পুলিশ ও ছাত্রলিগ–যুবলিগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ধানমন্ডিতে সংঘর্ষে ঢাকার রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী, রামপুরায় এক পথচারী, যাত্রাবাড়িতে এক রিকশাচালক, সাভারে এক শিক্ষার্থী এবং মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর হয়েছে বলে খবর।

Author

Spread the News