চাকা বনধের দিনে কাঁঠালতলি বাজারের ঘটনার খোঁজ নিলেন সিদ্দেক

বরাক তরঙ্গ, ১০ জানুয়ারি : পাথারকান্দি বিধানসভার বাজারিছড়া থানা অধীন কাঁঠালতলি বাজারে চাকা বনধের দিনে ঘটে যাওয়া এলাকায় খোঁজ নিলেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমদ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ কাছাড় কলেজে অধ্যাপক তথা কংগ্রেস নেতা মোহাম্মদ সামস উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে মন্ত্রী গিয়ে উপস্থিত হন কাঁঠালতলি বাজারে কিন্ত জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তখন গোটা বাজার এলাকা ছিল জনশূন্য। পরে তিনি এলাকার বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজ নিতে স্থানীয় কাঁঠালতলি পুলিশ ওয়াচ পোস্টে গিয়ে উপস্থিত হন। কিন্তু তখন ওয়াচ পোস্টের আইসি ফাঁড়িতে উপস্থিত না থাকায় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি। পরে প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ এলাকার জনগণের সঙ্গে দেখা করে ৷

বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিসহ ওই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনার খোঁজ খবর নেন। এতে তিনি কাঁঠালতলি, কুর্তি, মাড়ুগাও ইত‍্যাদি এলাকায় গিয়ে স্থানীয় নাগরিকের সঙ্গে মিলিত হয়ে কথা বলেন পরিস্থিতি খোঁজ নেওয়া পাশাপাশি এদিনের ঘটনার বিষয়ে তাদের কাছ থেকে সবিস্তারে অবগত হন। এবং এলাকার জনগণকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেন। সবশেষে ফিরে যাওয়ার প্রাক মুহূর্তে স্থানীয় সংবাদ মাধ‍্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক সিদ্দেক আহমদ বলেন, এমন কাণ্ড অতি নিন্দনীয়, তাঁর কথায় পুলিশের কর্তব্য হল শান্তি রক্ষা করা। তাই পুলিশ এসেছিল পরিস্থিতি শান্ত করতে কিন্তু সেই সময় কয়েকজন দুষ্কৃতীকারি অযথা মিথ‍্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশ আধিকারিকের ওপর চড়াও হয়ে যে কাণ্ডটি সংঘটিত করেছেন তা কোনো সভ্যসমাজ মেনে নেবে না। কতিপয় দৃষ্কৃতীকারি ব্যক্তির অসভ্য আচরনে গোটা এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষকে ভুগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি সর্বাবস্থায় এলাকায় শান্তি সম্প্রীতি অটুট রাখতে এলাকার জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান।

কাণ্ডকে কেন্দ্র করে যাতে নিরিহ মানুষদেরকে হয়রানি করা হয় সেদিকে লক্ষ রেখে  প্রকৃত দোষীদেরকে চিহ্নিত করে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী কঠুর ব‍্যবস্থা গ্রহণে জন্য তিনি করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাসের কাছে দাবি জানান। পাশাপাশি বাজার এলাকায় যে সময় সূচি দেওয়া হয়েছে তাও বৃদ্দি করার দাবি জানান। এছাড়া বিধায়ক এও বলেন, প্রকৃত দোষীরা পালিয়ে গা ঢাকা দিয়ে কতদিন থাকবে অচিরেই পুলিশের হাতে ধরাত পড়বেই। তাই তিনি তাদের প্রতি আহ্ববান জানিয়ে বলেন এলাকাট শান্তিময় পরিবেশ রক্ষার জন‍্য এ কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত দোষীরা যেন সেচ্ছায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করাটাই উচিত বলে মনে করেন তিনি। এদিন কাঁঠালতলি এলাকায় শান্তির বার্তা ফিরিয়ে আনার জন‍্য প্রাক্তন মন্ত্রী পুলিশ সুপার পার্থ প্রতিম দাসের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।

Author

Spread the News