হৃদয়বিদারক ঘটনা! ছোটবোনকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু বড়বোনের

বরাক তরঙ্গ, ১৮ জুলাই : হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটলো। ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালো বড়বোন। মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনাটি সংঘটি হয় শিলচর শহরের অদূরে বেরেঙ্গা চতুর্থ খণ্ডে। বাড়ির পাশে পুকুরে স্নান করতে গিয়ে দশ বছরের বোন ডুবে যাচ্ছে দেখে চিৎকার করে পাশে কাউকে না দেখে বোনকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিল বড়বোন। ইতিমধ্যেই তাদের বাবা পৌঁছান তিনি ছোট মেয়েকে উদ্ধার করলেও বড় মেয়ের কোন পাত্তা পান নেই। প্রতিবেশী এক ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গেই পুকুরে নেমে বড়মেয়েটিকে উদ্ধার করেন জীবিত অবস্থায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসারত অবস্থায় শিলচর মেডিক্যালে কয়েক ঘণ্টার পর প্রাণ হারায় কিশোরী।

জানা যায়, বেরেঙ্গা চতুর্থ খণ্ডের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন লস্করের দুই মেয়ে স্নান করতে যায় বাড়ির পাশে থাকা একটি বড় পুকুরে। তার বড় মেয়েটি বয়স হবে ১২ এবং ছোটটি বছর দশের। প্রতিদিনের মতো বুধবার বেলা ১টা নাগাদ দু’জন স্নান করতে যায়। ছোট বোনটি জলে ডুবে যাচ্ছে দেখে বড় বোন অনেক চেঁচামেচি করলেও কাউকে না পেয়ে পুকুরে নেমে পড়ে। তাদের হাল্লা চিৎকার শুনে আশপাশের লোকেরা সঙ্গে ছুটে আসেন। তাদের বাবা ইসলাম উদ্দিন এসে দেখতে পান ছোট মেয়েটি উপরে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাকে উদ্ধার করে উপরে নিয়ে আসেন হয়। বড় মেয়েটির কোন পাত্তা নেই। জলের মধ্যে বুড়ি ওটা দেখে পাশের বাড়ির সাহসী রুমিম মজুমদার নামের এক ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপ দিয়ে পড়েন পুকুরে। অনেক চেষ্টা করার পর জলের নিচ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেন তিনি। অবস্থা গুরুতর থাকায় সঙ্গে সঙ্গে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা ভালো হতে লাগলে কিছুক্ষণ পর ১২ বছরের কিশোরীর মৃত্যু ঘটে।

বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের কাজ সম্পূর্ণ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় কিশোরীর নিথর দেহ। বাড়িতে কিশোরীর মৃতদেহ পৌছলে কান্নার রোল উঠে। এ দিন বিকেলে তার জানাজা নামাজ শেষে কবরস্থ করা হয়। এমন ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। 

Author

Spread the News