নাগাটিলায় বিআরটিএফে গুরুনানক জয়ন্তী পালন
বরাক তরঙ্গ, ২ ডিসেম্বর : প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও গুরুনানক জয়ন্তীর এক সপ্তাহের পর শনিবার সোনাই রোড নাগাটিলার৷ ৫১০ বিআরটিএফ এর অধীনে থাকা গুরুদোয়ারা সাহেব -এ উৎসাহ ও উদ্দীপনায় গুরুনানক জয়ন্তী উদযাপন করা হয়। জ্ঞানী প্রেম সিং বলেন, এনএন দত্ত রোডে থাকা গুরুদোয়ারা শ্রীগুরু সিং সাবা-তে গুরুনানক জয়ন্তী পালন করার এক সপ্তাহের পর এই সোনাই রোড নাগাটিলার বিআরটিএফ-র অধীনে থাকা গুরুদোয়ারা সাহেব -এ বিআরটিএফ-তে কর্মরত প্রত্যেক শ্রেনীর কর্মীদের জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের সাহায্য ও সহযোগিতায় গুরুনানক জয়ন্তী উদযাপন করা হয়। সেইসঙ্গে সহযোগিতায় থাকেন অঞ্চলে অবস্থিত পঞ্জাবীরা। তিনি আরও বলেন, শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক। তিনিই শিখ সম্প্রদায়ের প্রথম গুরু। শিখদের আরও নয় জন গুরু আছেন। এদের মধ্যে গুরু নানকের জন্মদিন বা নানক জয়ন্তী শিখরা অত্যন্ত ধূমধামের সঙ্গে পালন করেন।
এই দিনে তারা নগর কীর্তন করেন, শোভাযাত্রা বের করেন স্তবগান করেন, গুরুদোয়ারা পরিদর্শন করেন। কারণ, গুরু নানকের দেওয়া শিক্ষার ওপর ভিত্তি করেই একটি স্বতন্ত্র বিশ্বাসের ওপর ভর দিয়ে গড়ে উঠেছে শিখ ধর্ম। এই প্রভাত ফেরি গুরুদোয়ারা থেকে শুরু হয়ে লোকালয়ের দিকে যায়। মিছিলের আগে আগে পাঁচ জন সশস্ত্র রক্ষী নিশান সাহিব পতাকা বহন করে নিয়ে যায়। তারা একটি পালকিও বহন করে নিয়ে চলে যার মধ্যে থাকে ফুল দিয়ে সুসজ্জিত গুরু গ্রন্থ সাহিব। মিছিলে অংশগ্রহনকারীরা ধর্মীয় গান গাইতে গাইতে এগিয়ে চলেন, এরপর গুরুবাণী হয়। দুপুরে গুরুদোয়ারায় উপস্থিত লোকজনদের লঙ্গরখানায় বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। প্রচুর শিখ ধর্মালম্বী সহ ভক্তি সহকারে বিআরটিএফ-র কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে সেবার কাজ করেন। বিআরটিএফ গুরুদোয়ারা সাহেবের পক্ষ জ্ঞানী প্রেম সিং সবাই উপস্থিত ধর্মপ্রাণ ভক্তদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রতিবেদক : দীপ দেব, শিলচর।