গুয়াহাটির বিজুলি ভবন ঘেরাও কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের
বরাক তরঙ্গ, ১০ সেপ্টেম্বর : স্মাৰ্ট মিটার প্ৰত্যাহারের দাবিতে সহস্ৰাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকরা গুয়াহাটির বিজুলি ভবন ঘেরাও করে। অল আসাম ইলেকট্ৰিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে সহস্ৰাধিক গ্ৰাহক সমবেত হয়ে আওয়াজ তোলে জনগণের লুন্ঠনের যন্ত্ৰ স্মাৰ্ট মিটার প্ৰত্যাহার করতে হবে, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার বেসরকারিকরণের ষড়যন্ত্ৰ প্ৰিপেইড স্মাৰ্ট মিটার বাতিল করতে হবে, স্মাৰ্ট মিটার ফিরিয়ে নাও, ডিজিটেল মিটার ফিরিয়ে দাও, স্মাৰ্ট মিটার বসিয়ে জনগণকে লুন্ঠন করা বন্ধ কর। বিক্ষোভ শুরুর পূর্বে সহস্ৰাধিক গ্ৰাহক পল্টন বাজারের মাদ্রাসা স্কুলের সামনে সমবেত হয়ে একটি প্ৰতিবাদী মিছিল বের করে বিজুলী ভবনের সামনে উপস্থিত হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির আহ্বায়ক অজয় আচাৰ্য।
তিনি বলেন, জনসাধারণের এই স্মাৰ্ট মিটারের কোনো প্ৰয়োজন নাই। স্মাৰ্ট মিটারের প্ৰয়োজন বৃহৎ কৰ্পোরেট গোষ্ঠীর। বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার বেসরকারিকরণের স্বাৰ্থে স্মাৰ্ট মিটার লাগানো হচ্ছে। এই মিটারের বিরুদ্ধে আসামের সৰ্বত্ৰ জনগণের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধির মারাত্মক অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে অথচ সরকার জোর করে স্মাৰ্ট মিটার চাপিয়ে দিচ্ছে।
তিনি এও বলেন, সরকার এখন অভিযোগকারীর ঘরে স্মাৰ্ট মিটারের সাথে পুরোনো ডিজিটাল মিটার বসানোর কথা বলছে। যদিও ডিজিটাল মিটারের সাথে স্মাৰ্ট মিটারের কোনো পাৰ্থক্যই নাই তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই স্মাৰ্ট মিটার বসানোর প্ৰয়োজন কি? তিনি
অবিলম্বে স্মাট মিটার প্ৰত্যাহারের দাবি জানান। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্ৰীর কাছে একটি স্মারকপত্র এপিডিসিএল’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মারফত প্রেরণ করা হয়।