লোকশিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের জন্মদিন ‘লোক সংহতি দিবস’ হিসাবে পালন
জনসংযোগ, শিলচর। বরাক তরঙ্গ, ১১ সেপ্টেম্বর : প্রখ্যাত লোকশিল্পী কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্যের ৫৪ তম জন্মবার্ষিকী দিনটি ‘লোক সংহতি দিবস’ হিসাবে শিলচরে শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপন করা হয়েছে। বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগের আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গণে মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের চত্বরে আয়োজিত ‘লোক সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে’ বক্তব্য রাখেন মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের ডিভিশনাল অফিসার আখতার হোসেন।
কাছাড় জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি শিলচরের তথ্য ও জনসংযোগ কার্যালয়ের পরিচালনায় এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ডিভিশনাল অফিসার হোসেন বলেন, লোকশিল্পী শিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য কলকাতায় পারিবারিক সূত্রে ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল, কালিকাপ্রসাদের সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতা সমগ্র অঞ্চলের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয় এবং লোকসংস্কৃতি, লোকসংগীতের গবেষণা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতা দেশ-বিদেশের সমগ্র অঞ্চলের মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয় এবং লোকসংস্কৃতি, লোকসঙ্গীতের গবেষণা উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয় এবং সংগীত জগতে বরাক উপত্যকা তথা সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চলের সুনাম বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে আমন্ত্রিত কালিকাপ্রসাদের বোন ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য তুলে ধরেন, একখানা সংগীত পরিবেশন করে তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এছাড়া বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত কালিকা প্রসাদের নিকটাত্মীয় তথা বিশিষ্ট শিল্পী সৌমিত্র সংকর চৌধুরী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে জানান ২০১৭ সাল থেকে সমগ্র রাজ্যে প্রতিবছর আয়োজিত হচ্ছে লোকসংহতি দিবস। ছোটবেলায় কালিকা প্রসাদের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, কালিকা প্রসাদ শুধুমাত্র একজন সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন না, একজন সৃজনশীল স্বপ্নদর্শী ছিলেন যিনি লোক ঐতিহ্যকে সামনে নিয়ে এসেছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী মঙ্গলা নাথ এবং মনিমিতা গোস্বামী শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এতে ঋতুপর্ণা নাথ এবং ঋতিকা দেবনাথ একখানা নৃত্য পরিবেশন করেন। কণ্ঠশিল্পীদের সঙ্গে তবলায় সহযোগিতা করেন বিশিষ্ট তবলা বাদক ভাস্কর দাস। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লোকসংগীত শিল্পী মঙ্গলা নাথ এবং মনিমিতা গোস্বামী শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এতে ঋতুপর্ণা নাথ এবং ঋতিকা দেবনাথ একখানা নৃত্য পরিবেশন করেন। কণ্ঠশিল্পীদের সঙ্গে তবলায় সহযোগিতা করেন বিশিষ্ট তবলা বাদক ভাস্কর দাস। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রেখে তথ্য ও জনসংযোগের সাংস্কৃতিক প্রডিউসার সৌমেন পাল চৌধুরী প্রয়াত এই শিল্পীর স্মৃতিচারণা করে বক্তব্য তুলে ধরেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিপ্লব বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের ব্যতিক্রমী কর্মজীবন দুঃখজনকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় শেষ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু অসম সরকার প্রতি বছর তার জন্মদিনকে ‘লোক সংহতি দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছে এবং এ বছরও দিনটিতে শহরাঞ্চল জুড়ে শিল্পীর গাওয়া গানগুলি প্রচারিত হয় জনসংযোগের স্থায়ী মাইকযোগে। একজন গায়ক, সুরকার এবং গবেষক হিসেবে তাঁর কাজ অসম ও বাংলার লোকসঙ্গীতের জগতে সংস্কৃতি ও প্রজন্মের সেতুবন্ধন হিসেবে চিহ্নিত থাকবে।