গ্রামীণ কারিগরদের ইট নির্মাণের প্রশিক্ষণ দিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়

বরাক তরঙ্গ, ২২ নভেম্বর : প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ কারিগরদের ইট নির্মাণের প্রশিক্ষণ দিল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর —এই তিন মাসে মোট ৭৬ জনকে তিনটি ব্যাচে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষার্থীদের প্রতিসপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা করে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধি, বৃহত্তর বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং তাঁদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা।

এই প্রশিক্ষণের নেতৃত্ব দেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুকার দেবানন দে পুরকায়স্থ। সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন ড. অদিতি নাথ ও অধ্যাপক দেবমাল্য ঘোষ। সহযোগিতা করেন জয়জিৎ ভট্টাচার্য ও দিব্যজ্যোতি দে।প্রশিক্ষণের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল — প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্পের সারসংক্ষেপ, আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে ইট নির্মাণ, স্ব-নিযুক্তি, ডিজিটাল সাক্ষরতা, আর্থিক সাক্ষরতা, মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং। শেষে সেক্টর স্কিল কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়নেরও ব্যবস্থা করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমেন্দ্র মোহন গোস্বামী সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এইসব প্রশিক্ষার্থীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক রাজীবমোহন পন্থের পৌরোহিত্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার নিংথয় সানা সিংহ, এনএসএসের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক এম গঙ্গাভূষণ, কৃষি প্রকৌশল বিভাগের প্রধান ড. অজিতা তিওয়ারি, সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা ড. জয়শ্রী দে প্রমুখ।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক পন্থ প্রশিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গ্রামীণ কারিগরদের ক্ষমতায়ন ও দেশের ঐতিহ্যবাহী পেশাগুলিকে শক্তিশালী করতে দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প দক্ষ পেশাদার তৈরি করে স্থানীয় উন্নয়ন ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষার্থীরা তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানান, স্বাধীনতার পর প্রথমবার তাঁদের মতো কারিগরদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এই স্বীকৃতি ও সহায়তা তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জীবিকা উন্নয়নে নতুন উদ্দীপনা জুগিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *