হয়নি সেতু, ডেঙ্গারবন্দ-আসাইঘাটে লঙ্গাই নদী পার হওয়ার একমাত্র ভরসা সাঁকো
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ৯ নভেম্বর : স্বাধীন ৭৮ বছর পরও পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের ডেঙ্গারবন্দ-আসাইঘাট লঙ্গাই নদীর দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র ভরসাই হল সাঁকো। এই সাঁকো দিয়ে এলাকার প্রায় ছয়টি গ্রামের জনগণ সহ স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের পারাপার করতে হয়। এ রুটের সংযোগ রয়েছে আট নং জাতীয় সড়কের সঙ্গে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রের ১৪টি স্থানের সঙ্গে এখানেও পাঁকা সেতু নির্মিত হবে বলে বিধায়ক প্রতিশ্রুতি দিলেও পরক্ষনে তা বুমেরাং হয়ে যায়। এতে বৃহত্তর এলাকার জনগন ব্যথিত হয়ে আছেন। যুগ যুগ ধরে এখানকার মানুষ বর্ষার মরসুমে নৌকা ও শুকনোর মরশুমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে নদী পারাপার করছেন।এবার তৈরী করা হয়েছে অস্থায়ী বাঁশের সেতু। বর্তমান পরিবর্তনকামী সরকারের আমলেও জনগনের দীর্ঘ দিনের দাবি উপেক্ষিত হওয়ায় স্থানীয় ভুক্তভোগীদের মনে একরাশ ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে।
কেন্দ্রের প্রত্যন্ত এলাকা লক্ষ্মীমালা, আসাইঘাট, পেঁচারঘাট, মাগুরছড়া, হৈলামছড়া প্রভৃতি গ্রামের জনগণের চলাচলের এ রুটে আজও নির্মিত হয়নি পাঁকা সেতু। এলাকার হিংসভাগ জনগণই দরিদ্র শ্রেণির।তাঁদের রোজগারের মাধ্যম হল কৃষিকাজ ও পশুপালন সহ দিনমজুরি। কিন্তু নদীর উপর পাঁকা সেতু না থাকাতে জনগণের রোজগারে বিরাট প্রভাব পড়ছে।এককথায় উন্নয়নের পথে অন্তরায় হয়ে উঠেছে সেতু। বর্ষার মরসুমে নৌকা আর শুকনোকালে বাঁশের সেতু দিয়ে চলাচল করা যেন সেখানের জনগণের দিনলিপি হয়ে উঠেছে। গ্রামের জনগণ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে সপ্তাহিক সলগই বাজারে ছুটতে হয়।তাছাড়া বাড়িঘর নির্মাণের জন্য ইট পাথর সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে হয় পাথারকান্দি, বাজারিছড়া অথবা লোয়াইরপোয়া থেকে। সামগ্রী নিজ বাড়িতে পৌঁছাতে গেলে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার সহ দ্বিগুণ কড়ি ব্যয় করতে হয়। এ নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বরাও দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছেন। গ্রামের জনগণের আফসোস আমরা শুধু ভোটার হয়ে অন্যের মুখাপেক্ষি হয়ে বসে আছি।কখন ছিঁড়বে ভাগ্যের ছিকে। ন্যায্য দাবি আদায়ে কার্যত আমাদের বঞ্চিত করে কোনাঠাসা করে রাখা হয়েছে। জরুরি মুহূর্তে কোন মুমর্ষ রোগী বা গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে নিতে হলে ভরসা করতে হয় সেই পলো ও বাঁশের নির্মিত বাঁকের। পুরো বিষয়টি বিবেচনা করে স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবিতে উল্লেখিত স্থানে পাঁকা সেতু নির্মানের জন্য এলাকার সমস্যাগ্রস্থ জনগন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, জেলা আয়ুক্ত প্রদীপ দ্বিবেদীর দৃষ্টি কামনা করেছেন।