সিইউইটি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন সহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকপত্র ডিএসও-র

সিইউইটি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন সহ বিভিন্ন দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকপত্র ডিএসও-র

বরাক তরঙ্গ, ৫ এপ্রিল : সিইউইটি পরীক্ষার কেন্দ্র করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, হাফলং, ডিফু সহ বিভিন্ন জেলা সদরে স্থাপন করা, পরীক্ষায় আবেদনের ক্ষেত্রে আধার কার্ড না থাকাদের সুযোগ প্রদান, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলা, মণিপুরী সহ অন্যান্য মাধ্যমের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সেসব ভাষায়  তৈরি করা এবং এই পরীক্ষা বিনা মাশুলে আয়োজনের দাবিতে এআইডিএসও’র কাছাড় ও করিমগঞ্জ জেলার এক প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকপত্র প্রদান করে। শুক্রবার সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রদান করা স্মারকপত্রে প্রথমেই বলা হয় যে শিক্ষার কেন্দ্রীয়করণের লক্ষ্যে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়াও এই পরীক্ষার যেসব ছাত্র বিরোধী ও শিক্ষা বিরোধী নীতি নিয়ম রয়েছে তা অবিলম্বে পরিবর্তন করতে হবে। এই পরীক্ষার জন্য বরাক উপত্যকায় শুধু শিলচরে একটি মাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র থাকার তীব্র বিরোধিতা করে সব জেলা সদরে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় গরীব ঘরের পরীক্ষার্থীরা গাড়ি ভাড়া, হোটেল খরচ সহ অন্যান্য খরচের অর্থ জোগাড় করতে পারবে না।

এছাড়াও এই পরীক্ষায় অসমের পরীক্ষার্থীদের শুধু অসমিয়া ও ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে বলে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি যে নির্দেশ জারি করেছে তা পরিবর্তন করে রাজ্যের অন্যান্য মাধ্যম যথাক্রমে বাংলা, হিন্দি, বড়ো, মণিপুরি ইত্যাদিতেও পড়াশোনা করা ছাত্র ছাত্রীদের জন্য তাদের নিজস্ব মাধ্যমের ভাষায় প্রশ্নপত্র প্রদানের দাবিও জানানো হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকপত্রে এও দাবি করা হয় যে ‘সিইউইটি’ পরীক্ষার আবেদনের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা চলবে না। অসমে যেহেতু আধার কার্ড সবার নেই তাই ছাত্র ছাত্রীদের আধার কার্ডের পরিবর্তে অন্যান্য পরিচয় পত্রের মান্যতা দিতে হবে। তাছাড়াও এই পরীক্ষার কোন ফিজ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া চলবে না।

উল্লেখ্য, এই পরীক্ষার জন্য ১৪০০ টাকা ফিজ ধার্য করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে ছাত্র ছাত্রীদের মতের সম্পূর্ণ বিপরীতে এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে এবং এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ছাত্রছাত্রীরা নিজস্ব এলাকার কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে কি না তা নিশ্চিত নয়। তাই অহেতুক ফিজ নেওয়া যাবে না। প্রতিনিধিরা বলেন ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থের পরিপন্থী এই পরীক্ষা আয়োজন না করার দাবি এআইডিএসও’র পক্ষ থেকে শুরু থেকেই করা হচ্ছে কিন্তু বিজেপি পরিচালিত বিগত সরকার ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত বিপন্নকারী একের পর এক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের অন্তত পরীক্ষায় বসার সুযোগ প্রদানের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়। প্রতিনিধিদলে স্বপন চৌধুরী, জয়দীপ দাস, তুতন দাস সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Author

Spread the News