নগদিগ্রামে সোনাই নদীতে তলিয়ে যাওয়া শিশুর দেহ সোনাবাড়িঘাটে উদ্ধার
বরাক তরঙ্গ, ২০ সেপ্টেম্বর : সোনাই নদীতে তলিয়ে যাওয়া শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হল সোনাবাড়িঘাট এলাকার বরাক নদীতে। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সোনাবাড়িঘাট মৌলাশা বাবা মোকামের নিচে বরাক নদীতে শিশুর লাশটি দেখতে পান। উদ্ধার তীরে নিয়ে আসার পর সেখানে এক আত্মীয় শিশুটি দেখে নগদিগ্রামে খবর দেন। এরপর শিশুর কাকা এসে দেহটি সনাক্ত করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ সমঝে ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেয়।
জানা যায়, হাতিখাল নগদিগ্রাম চতুর্থ খণ্ডের খাইরুল আহমেদের সাড়ে পাঁচ বছরের পুত্রসন্তান সিমরান আহমেদ বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনাই নদীতে তলিয়ে যায়। তার কাকা জানান, সিমরানের বাবা খাইরুল বৃহস্পতিবার দুপুরে ছোট সন্তানকে নিয়ে নদীতে স্নান করতে যাওয়ার সময় সিমরানকে স্নানে যাবে কি বললে সে জানায় মায়ের সঙ্গে করে নিয়েছে। তারপর খাইরুল ছোট সন্তানকে নদীতে চলে যান। স্নান সেরে ঘরে ফেরার সময় নদীর তীরে সিমরানের প্যান্ট নজরে পড়ে। এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কোথাও হদিস না পেয়ে নদীতে তল্লাশি চালান। খবর দেওয়া হয় এসডিআরএফ বাহিনীকে। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে কোন সন্ধান পায়নি। অবশেষে সোনাবাড়িঘাটে বরাক নদীতে সিমরানের দেহ ভেসে ওঠে। খাইরুলের তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান ছিল সিমরান। তার মর্মান্তিক ও অকাল মৃত্যুতে পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।