রূপক চক্রবর্তী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৪ ডিসেম্বর : দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত ও বহু চর্চিত কনকপুর–বাখরশাহ মোকাম সেতু নির্মাণকাজের শিলান্যাস করলেন শিলচর বিধানসভার বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। সেতু নির্মাণে প্রায় ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রবিবার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, এলাকার মানুষদের দীর্ঘদিনের যাতায়াত সমস্যার কথা মাথায় রেখেই এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে।
বক্তব্যে বিধায়ক কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস এই এলাকাকে শুধু কলোনি হিসেবে ব্যবহার করেছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও স্থায়ী পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। তার ফলেই এলাকার মানুষ এতদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ওল্ড লক্ষীপুর রোড থেকে মধুরবন্দ পর্যন্ত মাস্টার ড্রেন নির্মাণের কাজও বর্তমানে চলছে এবং শীঘ্রই তা সম্পন্ন হবে। এতে জলনিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পূর্ত বিভাগের বাস্তুকার অভিজিৎ পাল, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অজয় পাল ও আজাদ হোসেন লস্কর, বিধায়কের প্রতিনিধি সঞ্জয় রায়, এমাজ মজুমদার সহ এলাকার বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ হবে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ দিন শিলচর পুরনিগমের অধীনে নতুন অন্তর্ভুক্ত বৃহত্তর তারাপুর এলাকার ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের জমা জল নিষ্কাশনের উদ্দেশ্যে অসম সরকারের ১৫তম ফাইন্যান্স কমিশনের ২০২৩-২৪ বৎসরের দ্বিতীয় কিস্তির অধীনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের শিলান্যাস করেন বিধায়ক। প্রথম প্রকল্পে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বৃন্দাবন সরণীর বান্দরপুরী খালের দুই পাশে গার্ড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এটি বৃন্দাবন সরণীর বক্স কালভার্ট থেকে শুরু করে তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে প্রসারিত হবে। দ্বিতীয় প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বৃন্দাবন সরণী প্রবেশপথের কাছে বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পুর কমিশনার ও জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অভ্রজিত চক্রবর্তী (ঝলক), বিজেপির শিলচর ব্লক মণ্ডল সভাপতি পিকলু দাস, তারাপুর জিপি সেক্রেটারি উজ্জল পাল, জেলা পরিষদের বাস্তুকার সপ্তম দে, শ্যামা নাথ, অর্পিতা চক্রবর্তী, বাসু দাশ, অরুণ নাথ প্রমুখ।


