মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১ ডিসেম্বর : মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অসম পুলিশের বড় ধাক্কা।চুরাইবাড়িতে ফের বিপুল গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। ৬৭ প্যাকেটে দুই কোটির গাঁজা উদ্ধার তল্লাশিতে ওসির সূক্ষ্ম সন্দেহেই মিলল বড় সাফল্য।শ্রীভূমি জেলার আওতাধীন পাথারকান্দির সমোজেলার ও বিধানসভার বাজারিছড়া থানাধীন অসম ত্রিপুরা সীমান্ত এলাকা জুড়ে মাদক বিরোধী লড়াইয়ে একের পর এক সাফল্য অর্জন করছে চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্ট এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে ফের বিশাল পরিমাণ শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো এত বড় বাজেয়াপ্ত অভিযানে এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে সচেতন মহল।
সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ত্রিপুরা থেকে অসমের দিকে প্রবেশ করা এনএল-০৬-এ-৭৩৫৮ নম্বরের একটি বারো চাকার লরি চুরাইবাড়ি পুলিশ চেক পোস্টে পৌঁছায়। নিয়মিত তল্লাশির জন্য লরিটি আটকান ওয়াচ পোস্ট ইনচার্জ ওসি আনন্দ মেধি। তবে এইদিনের তল্লাশি ছিল অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে কঠিন ও সূক্ষ্ম কারণ ওসির সামান্যতম সন্দেহই এই বিশাল উদ্ধার অভিযানের সূত্রপাত।প্রথমে গাড়িটি সম্পূর্ণ খালি মনে হলেও অভিজ্ঞ চোখে ধরা পড়ে কিছু অসঙ্গতি। এরপর তার নির্দেশে পুলিশ লরির বডির একেক ইঞ্চি করে তল্লাশি শুরু করে। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর দেখা যায়, লরির দু’পাশে স্টিলের বডির ভেতরে বিশেষভাবে তৈরি করা ফাঁপা চেম্বার। সুক্ষ্মভাবে লুকোনো এই অংশ খুলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক প্যাকেট। মোট ৬৭টি প্যাকেটে ৩ কুইন্টাল ৭৬ কেজি গাঁজা যার বাজারমূল্য আনুমানিক দুই কোটি টাকারও বেশি।
এ ঘটনায় আটক করা হয় লরির চালক রাকেশ চক্রবর্তীকে, যার বাড়ি ত্রিপুরার কমলানগরের জিরানিয়ায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়—ত্রিপুরা থেকে এই বিশাল পরিমাণ নেশাদ্রব্য শিলংয়ের একটি চক্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। মাদক কারবারিদের নির্দেশ অনুযায়ী লরিটি খালি রাখা হয়েছিল, যাতে সন্দেহ কম হয়। একইসঙ্গে গোপন চেম্বার ব্যবহার করে পাচার প্রক্রিয়াটিকে আরও নিখুঁত করার চেষ্টা ছিল তাদের।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পাথারকান্দি সমজেলার পুলিশ সুপার অর্ণিবান শর্মা।


